NATUNPATA | MONDA MITHI — NATUN BANDHU | SINJAN MUKHARJEE — 2 MARCH 2024

নতুনপাতা | মণ্ডা মিঠাই — আধুনিক চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ে বিজ্ঞানের প্রয়োগ — সিঞ্জন মুখার্জী | নতুন বন্ধু | ২ মার্চ ২০২৪

ছোটদের বিভাগ

NATUNPATA  MONDA MITHI  NATUN BANDHU   SINJAN MUKHARJEE  2 MARCH 2024

নতুনপাতা | মণ্ডা মিঠাই  

আধুনিক চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ে বিজ্ঞানের প্রয়োগ  

সিঞ্জন মুখার্জী


 

“বিজ্ঞান” এমন একটি বিষয় যা পরিবেশের সব কিছুতে কাজে লাগে। যেমন–চিকিৎসা জগতে,পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইত্যাদি । প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত চিকিৎসার নানারূপ পরিবর্তন ঘটেছে। বিজ্ঞান এর দুটি দিক রয়েছে। যথা–ভৌত এবং জীবন বিজ্ঞান। চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হয় জীবনবিজ্ঞান। প্রাচীনকালের চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং বর্তমানের চিকিৎসা বিজ্ঞানের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। যেমন প্রাচীনকালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গাছ- গাছালি লাগিয়ে বা সেবন করিয়ে মানুষের রোগ নিরাময় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ওষুধ যা তরল এবং কঠিন দুই প্রকারের পাওয়া যায়।তরল কে SYRAP এবং কঠিন কে TABLET বলা হয়। প্রাচীনকালে কিছু কিছু মারণ রোগের জন্য মানুষকে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে। সেই উল্লেখযোগ্য রোগগুলি হলো কলেরা,জলাতঙ্ক,টাইফয়েড,কালাজ্বর ইত্যাদি।বর্তমানে যার ওষুধ আবিষ্কার করা হয়েছে। যা ভ্যাকসিন এবং টীকা রূপে মানুষের শরীরে পৌঁছচ্ছে।
বলা বাহুল্য,বিজ্ঞান সৃষ্টি হয়েছে বিজ্ঞানীদের জন্য।তাই বিজ্ঞানের কথা বলতে গিয়ে বিজ্ঞানী দের ভুলে গেলে চলবে না।বর্তমানে চিকিৎসাশাস্ত্রেরও নানাভাবে উন্নতি হয়েছে। যেমন বর্তমানে চিকিৎসকের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে। প্রাচীনকালে মানুষকে পায়ে হাঁটিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হতো। বর্তমানে চিকিৎসাযানে করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাচীনকালের চিকিৎসকদের অজ্ঞতাও বিজ্ঞানকে পিছিয়ে রেখেছিল। যেমন প্রাচীন কালে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সঠিক ফলাফল পাওয়া যেত না। যা বর্তমানে পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে বেশিরভাগ ওষুধই দেওয়া হতো ইনজেকশন এর মাধ্যমে। যা বর্তমানে ক্যাপসুল,ট্যাবলেট ইত্যাদির মাধ্যমে সেবন করানো হয়। 


বর্তমান যুগে চিকিৎসার অনেক উন্নতি হয়েছে। রোগ নিরূপনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রযুক্তির প্রয়োগ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। অতি আধুনিক রক্ত পরীক্ষা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে বহু ধরনের নতুন যন্ত্রপাতি খুব সহজে মানুষের দেহের মধ্যে থাকা রোগগুলিকে চিহ্নিত করতে পারছে। এরপরে চিকিৎসকরা খুব সহজে রোগীদের চিকিৎসার কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় X RAY,ULTASONOGRAPHY,MRI,SITI SCAN।যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ দেখার কাজে ব্যবহার করা হয়। 
পরিশেষে আরেকটি কথা বলে শেষ করবো বিজ্ঞানের সৃষ্টি যেমন বিজ্ঞানীরা করেছে,তেমনি চিকিৎসার সৃষ্টি চিকিৎসকদের জন্য হয়েছে।তাই বর্তমান যুগে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচানোর পেছনে চিকিৎসকদের অবদান অনস্বীকার্য। এই সবকিছুকে সৃষ্টি করেছে বিজ্ঞান। যদি বিজ্ঞানকে ঠিকমতো ব্যাবহার করা যায় তাহলে তা মানুষের লাভের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। মনে রাখা দরকার বর্তমান যুগে বিজ্ঞান বিপুলভাবে এগিয়ে গেছে।কারণ বিজ্ঞানকে ঠিকমতো ব্যাবহার করা হয়েছে।

নবম শ্রেণী 
কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ কল্যাণ নগর ,খড়দহ 
,উত্তর ২৪ পরগনা
সূর্য সেন নগর,
খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা
৯৪৩৩৮৭৭৮৮৯

Comments :0

Login to leave a comment