নতুনপাতা
ধারাবাহিক গল্প
কালাটপে তুহিন
সৌজন্য দাস
চার
জ্ঞান ফিরলে তুহিন দেখল যে সে একটা ঘরে বন্দি এবং তার সামনে বসে মিস্টার বোস। মুখে সিগারেট,মাথায় টুপি,পরণে খয়েরী কোট-প্যান্ট। দু পকেট এ দুটো রিভলবার। মৃদু হেসে বলল কী বন্ধু কী খবর?
তুহিন - মিস্টার বোস,আপনি?
-হ্যাঁ,আমি। জানো এইদিনটা আমি এত তাড়াতাড়ি পাব তা ভাবতেও পারিনি।
- মিস্টার বোস!
-আচ্ছা বলতো, তোমাদের সঙ্গে আমার কতদিনের পরিচয়। মিনিমাম 10 বছর। তাহলে বল এত পরিচয় থাকা সত্ত্বেও কেন আমি তোমাদের খুন করতে চাইছি। জানো না নিশ্চয়ই। তাহলে শোনো - আরকুবা কাণ্ডের নেতা বরিষ কে পুলিশ ধরে ফেলে তোমার জন্যই। আর সেই জন্যই আমি তোমায়..... একথা বলে মিস্টার বোস যেই ছুরি টা বের করে তুহিনের পেটে ঢোকাতে গিয়েছিল অমনি বিকট একটা শব্দ হলো। একটা গুলি সোজা হাতে লাগলো মিস্টার বোসের। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকলো পুলিশ অফিসার মিস্টার সিং সহ আরো অনেকে। মিস্টার সিং প্রথমেই তুহিনকে উদ্ধার করে বলল এদের উপর আগে থেকেই নজর ছিল। শুধু ছিল প্রমাণের অভাব।
তুহিন বলল, স্যার এরা ভয়ঙ্কর খতরনাক। সম্ভবত বিখ্যাত মাদক পাচারকারী রবার্ট বরিস এর সাথে এদের কোন যোগ আছে।
মিস্টার সিং - তাই নাকি?
হঠাৎই আহত মিস্টার বোস লাফিয়ে উঠে রিভলবার তাক করে মিস্টার সিং এর দিকে। ভয়ঙ্কর রাগে তুহিনের পিস্তল গর্জে উঠল সঙ্গে সঙ্গে। বারদুই সামনে-পিছনে মাথা হেলিয়ে নিথর দেহ পড়ে গেল মিস্টার বোসের। মুখ থেকে অঝরে রক্ত বেরিয়ে মাটিকে ভিজিয়ে করে তুলল লাল।ত্রিশান একেবারে সামনে থাকায় ওর প্যান্ট রক্তে সামান্য ভিজে গিয়েছিল। এক কনস্টেবল তখন রূপম কে নিয়ে ঘরে ঢুকলেন।তুহিন এবার একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল। মি. সিং কৃতজ্ঞতার হাসি হেসে বাকি কাজে মন দিলেন। বাইরের তুষারঝড় তখন অনেকটা থেমেছে।
সমাপ্ত
Comments :0