নতুনপাতা
ধারাবাহিক গল্প
কালাটপে তুহিন
সৌজন্য দাস / নতুন বন্ধু
দুই
-আচ্ছা ঠিক আছে আপনারা চেষ্টা চালান। এই বলে তুহিন ফোন রাখল আর ঠিক তখনই একটা মেসেজ এলো। তুহিন দেখল তাতে লেখা আছে - যদি বন্ধুকে জীবন্ত পেতে চাও সত্বর পোড়া মন্দিরের পেছনে দেখা করো আগামী কাল রাত দশটারপর ।
ত্রিশান বলল,কার মেসেজ এটা?
"জানিনা।তবে শত্রুদের মেসেজ এটা"। বেশ গম্ভীর গলায় বলে তুহিন।
- পোড়া মন্দির আবার কোথায়?
- ড্রাইভার সকালে বলেছিল পোড়া মন্দিরের কথা।
পোড়া মন্দির চাম্বা লেক থেকে মিনিট 2 এর পথ। একটা অর্ধনির্মিত মন্দির। যেটা বিশাল বড় প্রায় এক একর জমির উপর অবস্থিত এই মন্দির চীনের চাও- হো -মিন নামে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বানিয়ে ছিলেন।
- তবে তুই কি ওটাই যেতে চাস?প্রশ্ন করে ত্রিশান।
তুহিন বলে," হ্যাঁ অবশ্যই না হলে রুপম কে বাঁচানো যাবেনা"।তবে হঠাৎ তুহিন কথা থামিয়ে মাটি থেকে একটি জিনিস তুলল.. জিনিসটা একটা সিগারেটের টুকরো। ত্রিশান বলে আরে এটা তো সিগারেট। এখানে আবার সিগারেট খেয়ে পোড়া টুকরো কে ফেলল। তুহিন তখন দ্রুত বাইরে গিয়ে দেখল কার্পেটে একটু কাদা।
তুহিন বলে -ব্যাগ দুটো দেখ।
ত্রিশান -আরে জিনিস পত্র গুলো এতো এলো মেলো কে করে দিল?
তুহিন মুচকি হেসে জানতে চাইল পেঙ্গুইন এর সিগারেট কোথায় কোথায় দেখেছিস?
ত্রিশান -আমার এক বন্ধু খেত ঐ সিগারেট। আর মি. সুশান্ত বোস কে খেতে দেখেছিলাম। অবশ্য যদিও উনি একজন চেইন স্মোকার। তবে হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন?
কারণ সিগারেটটা ইয়োলো পেঙ্গুইন কোম্পানির তৈরি। তুহিন এ কথা বলে খাটে বসলো। ল্যাপটপ টা খোলাই ছিল। ল্যাপটপের সামনে ও বসল। আর তখনই একটা খবর ওর দৃষ্টি আকর্ষণ করলো।'মিরান্ডাই মিলল মাদক ' খবরটা তুহিন পড়তে লাগলো। বেশ রোমহর্ষক খবর। খবর পড়া শেষ হতেই ত্রিশান বলল অত মনোযোগ দিয়ে কী পড়ছিলি? খুব ইন্টারেস্টিং খবর মনে হচ্ছে।
-হ্যাঁ বেশ ইন্টারেস্টিং বটে ড্রাগ নিয়ে ব্যাপারটা। তবে জানিস আসল লোক পালালেও সাংবাদিকরা আসল ক্রিমিনাল এর বর্ণনা দিয়েছেন তা পুরো আমাদের মিস্টার বোস এর সঙ্গে মিল আছে।
এই এক মিনিট সেদিন, সেদিন পঞ্চপুলা ওয়াটার ফলস গিয়ে রুপম বলল, মিস্টার বোস কে দেখেছে। আবার এই নিউজে যে ছবি আর বর্ণনা তা মিস্টার বোসের আবার সেই সিগারেট। তাহলে ব্যাপারটা কি? হঠাৎ বলে ওঠে ত্রিশান। তুহিন বলে, তাইতো নিশ্চই ডাল মে কুছ তো কালা হে ।
তুহিন এবার চটপট একটা ফোন করলো। তারপর বলল জানিস ইন্ডিয়ান রেলওয়ে তে ফোন করেছিলাম এবং তাতে যা বুঝলাম
সঞ্জয় বিন্দ্রা বলে এক ভদ্রলোক গত মাসে কালকা এক্সপ্রেসে করে হিমাচলে আসেন। আর আশ্চর্যজনকভাবে ঐ বিন্দ্রার সাথে মিস্টার বোস এর ছবি হুবহু মিলে যাচ্ছে। আর আমি আমি ইন্ডিয়ান ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে খবর নিয়ে জেনেছি যে এই বিন্দ্রার নাম নাকি মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে আছে। ত্রিশান বলে তুই জানলি কি করে যে ঐ নাম্বার টা মানে যে টা থেকে ঐ হুমকি টা এল সেটা এস. বিন্দ্রার। তুহিন বলে আরে সেটা ফোনে সার্চ দিয়ে দেখে নিয়েছি, জানিস লোকটা নাকি ড্রাগের ব্যবসায়িক কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে।
ত্রিশান সব শুনে বলল হাউ ডেঞ্জারাস! মিস্টার বোস তাহলে তলায় তলায় এসব কাজ করে।
তুহিন - তুই ঘরে থাক। আমি আসছি। এ একথা বলে তুহিন বেরিয়ে গেল।
চলবে
গ্রাম +পোষ্ট -অকালপৌষ /জেলা -পূর্ব বর্ধমান /পিন -৭১৩১২২ /ফোন -9474601636
Comments :0