বন্ধ করতে হবে প্রিপেড স্মার্ট মিটার চালুর ব্যবস্থা। বিদ্যুতের বিলে ছাড় দিতে হবে আর্থিকভাবে সঙ্কটাপন্ন অংশকে। বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে জড়িত এমন একাধিক দাবিতে রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার জলপাইগুড়ির দপ্তরে বিক্ষোভ দেখালো সিপিআই(এম)।

করোনার সময় অনেকেই জীবিকা হারিয়েছেন। দিতে পারেননি বিল। সেই বকেয়া মকুব করারও দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)। রাজ্যের সব জেলায় স্মার্ট মিটার চালুর বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ। বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থায় সংস্কারের নামে বাড়তি অর্থের বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর চাপানোর প্রতিবাদে সরব সিপিআই(এম)। 

মঙ্গলবার ডব্লিউবিএসইডিসিএল জলপাইগুড়ি রিজিওনাল ম্যানেজার দপ্তরের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভসভা করে স্মারকলিপি দেয় সিপিআই(এম) সদর পূর্ব এরিয়া কমিটি।

স্মার্ট মিটারিং ব্যবস্থায় আগে টাকা জমা রাখতে হবে বিদ্যুৎ সংস্থার কাছে। প্রয়োজনের সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের খরচ বাড়বে কয়েকগুন। সংস্থা নিজের হিসেবে আগাম জমা টাকা কেটে নেবে। জমা টাকা শেষ হলে বন্ধ হবে বিদ্যুৎ পরিবহণ। ফের জমা করতে হবে টাকা। মারাত্মক বাড়বে বিদ্যুতের খরচ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই ব্যবস্থা চালু করতে নেমেছে। আর রাজ্যের তৃণমূল সরকার সেই পরিকলপনা হাতে ধরে রূপায়নে তৎপর। 

বিক্ষোভ সভায় দাবি উঠেছে যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে ছাড় দিতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল যে অংশকে বকেয়ার জন্য তাঁদের সংযোগ কাটা চলবে না। তিন মাসে একবার নিয়ে প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল নিতে হবে। জলপাইগুড়ি শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় লোডশেডিং কমিয়ে আনার দাবিও জানানো হয়েছে। 

বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন বর্ষীয়ান পার্টি নেতা রতন রায়। বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা কৃষ্ণ সেন, আইনজীবী বিকাশ রায়, যুব নেতা শুভায়ু পাল, দেবব্রত ভৌমিক, পার্টি নেতা তপন চক্রবর্তী, অভি ভৌমিক ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা মৃণাল রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

বক্তারা বলেন, স্মার্ট মিটারের বসানোর মধ্য দিয়ে গরিব মধ্যবিত্ত মানুষকে আর্থিক বোঝার মুখে ঠেলে কর্পোরেটদের হাত শক্ত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোবাইলে ক্যাশ কার্ড ভরার মত একটি নির্দিষ্ট ইউনিট হিসাব করে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে হবে সেই ইউনিটের বেশি খরচ করা যাবে না ইউনিটের পরিমাণ শেষ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে সেই বাড়ি।

সিপিআই(এম) সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিপুল সান্যাল জানান, ‘‘স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হলে পার্টি পথে নেমে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধিতা করবে।’’ 

পার্টির জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য প্রদীপ দে জেলা নেতা বিপ্লব ঝা, মহিলা নেত্রী দুর্বা ব্যানার্জি পিয়ালী গুহ, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।