Post-Editorial -Ganashakti Lonely 'Me'

নিঃসঙ্গ 'আমি' সঙ্গ খুঁজুক সামাজিক একাত্মতায়

সম্পাদকীয় বিভাগ

Post-Editorial -Ganashakti Lonely Me


মণীন্দ্র চক্রবর্তী

       

    "ইতনা সন্নাটা কিঁউ হ্যায় ভাই!" ... দুপুরের দিকে শহরতলির ট্রেনে পা দিলে এই সংলাপটি আপনার মনে আসতেই পারে। কারও মুখে কোনও কথা নেই। ঘাড় গুঁজে প্রায় সকলেই মোবাইলে মগ্ন। যাদের হাতে মোবাইল নেই, তারাও নির্বাক। চলন্ত ট্রেনের কর্কশ ধাতব শব্দ এবং সহযাত্রীর হিরন্ময় নীরবতা, তাকেও কেমন যেন বোবা করে দিয়েছে। অনন্যোপায় হয়ে কেউ বসে রয়েছেন চোখ বুঁজে, কেউ আবার উদাসীনভাবে চেয়ে রয়েছেন বাইরের পানে। পাশাপাশি তিনজনের সিটে চারটে মানুষ গাদাগাদি করে বসে আছেন, অথচ প্রত্যেকেই একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন। বাহ্যজ্ঞান শূন্য ব্যক্তি মানুষের যাবতীয় সত্তা যেন কেন্দ্রীভূত হয়ে গিয়েছে তাদের হাতে ধরা মোবাইলটির তিন-চার ইঞ্চির স্ক্রিনে মধ্যে। এটা কি শুধুই নিছক সমাজ মাধ্যমের প্রতি তীব্র আসক্তির বহিঃপ্রকাশ, নাকি নিজের অজান্তেই নিজের চারপাশে দুর্লঙ্ঘ এক প্রাচীর গড়ে তুলে সমাজের মধ্যে নিজেকে নিঃসঙ্গ, আত্মবিচ্ছিন্ন করে ফেলার এক মানসিক প্রস্তুতি? 

 


      এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, মানব মনের গতিবিধি মোটেই একমাত্রিক কিংবা সরলরৈখিক নয়। এখন প্রশ্ন হলো, বহুমাত্রিক সেই মানব মনের এহেন আচরণের কারণ কি! সভ্যতার আদি পর্ব থেকে মানুষ সেই মানব মনের তল খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে, মানুষের চেতনা এবং সত্তার নিয়ন্ত্রক কে! কঠোপনিষদ লিখেছিল - আত্মানং রথিনং বিদ্ধি শরীরং রথমেব তু। বুদ্ধিং তু সারথিং বিদ্ধি মনঃ প্রগ্রহমেব চ।। (১/৩/৩)-  অর্থাৎ জীবের আত্মাকে রথস্বামী ও শরীরকে যেমন রথ বলে জানবে; তেমনি বুদ্ধি হলো রথচালক এবং মন হচ্ছে তার প্রগ্রহ বা লাগাম। প্রশ্নোপনিষদ আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলল— জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং কর্মেন্দ্রিয়গুলির চালক হলো মন। চালক না থাকলে ইন্দ্রিয়গুলি উন্মার্গগামী হয়ে যেতে পারে। তারজন্যেই ইন্দ্রিয়গুলির চালক হিসাবে মনের সৃষ্টি হয়েছিল।


         শাস্ত্র বলছে, বুদ্ধি হলো মানুষের চালিকাশক্তি। বিজ্ঞানেরও অভিমত, বুদ্ধিবৃত্তিই মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে পৃথক করেছে। স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা হওয়া উচিত, পৃথিবীর সবচাইতে বুদ্ধিমান প্রাণী হিসাবে পরিচিত সেই মানব প্রজাতি আত্মবিচ্ছিন্নতার নাগপাশে জড়িয়ে পড়ল কিভাবে! 


       প্রায় একশো আশি বছর আগে এই আত্মবিচ্ছিন্নতার বস্তুনিষ্ঠ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন মহান দার্শনিক কার্ল মার্কস। তিনি দেখিয়েছিলেন— এই বিচ্ছিন্নতা কোনও বিমূর্ত, অতিপ্রাকৃত ঘটনা নয়। বিচ্ছিন্নতার উৎস এই চলমান বস্তুজগতের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। এই বিচ্ছিন্নতার নেপথ্যের আর্থ-সামাজিক কার্যকারণগুলি উদ্ঘাটন করতে গিয়ে তিনি বললেন— সমাজ জীবনে শ্রম বিভাজনের পূর্ববর্তী পর্যায়ে ব্যক্তি ও প্রকৃতি ছিল সমন্বিত। ঐতিহাসিক কারণে শ্রমবিভাজনের জন্মের সূত্র ধরেই সৃষ্টি হয়েছিল সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা। ব্যক্তি মালিকানা উদ্ভবের ফলে সমাজে অর্থনৈতিক অসাম্যের বুনিয়াদ পাকাপাকিভাবে রচিত হলো। ব্যক্তি মালিকানাধীন সমাজে উৎপাদন ব্যবস্থায় শ্রমজীবী ব্যক্তির প্রধান ভূমিকা থাকলেও তার উৎপাদিত সামগ্রীগুলি আত্মসাৎ করে মালিকপক্ষ। এর পরিণতিতে শ্রমিকের সঙ্গে তার সৃষ্ট বস্তুর এবং নিজের শ্রমপ্রক্রিয়ার এক বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শ্রমের বিচ্ছিন্নতা এতটাই ভয়াবহ যে, যে সৃজনশীল শ্রমের দৌলতে মানুষ আর পাঁচটা পশুর থেকে আলাদা হলো, সেই শ্রম মানুষকে আজ ক্লান্ত শ্রান্ত করে তুলছে। কারণ শ্রমিক তার সৃষ্টিশীল শ্রমের স্বাধীন প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত। শ্রমিক আজ কেবল পুঁজিপতির আজ্ঞাবহ দাস মাত্র। ফলে, পূর্ব নির্ধারিত বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যে বন্দী শ্রমিক প্রতিদিন একটু একটু করে বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত হতে হতে ক্রমশ সে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে আত্মিক এবং প্রজাতি সত্তা থেকে। 

এবং নির্মম হলেও সত্য, নিজেকে সুবিন্যস্ত, পরিপাটি করে সাজিয়ে তোলার স্বার্থে পুঁজিবাদ প্রতিদিন শ্রমিকের এই বিচ্ছিন্নতাবোধকে তীব্র থেকে তীব্রতর করে চলেছে পরিকল্পিতভাবে। কাজেই ট্রেনের কামরা থেকে শুরু করে, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা মানুষের মধ্যে এই বিচ্ছিন্নতা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শ্রমজীবী মানুষের এই বিচ্ছিন্নতার চারটি রূপের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কার্ল মার্কস। উৎপাদিত পণ্য থেকে বিচ্ছিন্নতা, উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্নতা, প্রজাতি থেকে বিচ্ছিন্নতা, একের সঙ্গে অপরের বিচ্ছিন্নতা।

 


       পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বিকাশের ওই নির্দিষ্ট পর্বে বিচ্ছিন্নতার এই ব্যাখ্যার পাশাপাশি মার্কস আরও কয়েকটি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন তাঁর অর্থনৈতিক ও দার্শনিক খসড়ায়। যদিও সেগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনার অবকাশ এখানে নেই। কিন্তু যে বিষয়টি আলোচনা না করলেই নয়, তা হলো, মার্কসের আগেও সমাজ ছিল, সেই সমাজে শোষণ-বঞ্চনা ইত্যাদিও ছিল। সুতরাং দুঃখ-কষ্ট মানুষের তখনও ছিল। এবং সেই অন্যায়-অবিচার ও শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইও ছিল। অন্যায়-অবিচার ও নিরাপত্তার অভাব বোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ বারেবারে চেষ্টা করেছে, স্পর্ধা দেখিয়েছে শাসকের গড়ে তোলা নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোগুলিকে ভেঙে ফেলার। সাধারণের এই সাহস, এই স্পর্ধা প্রদর্শন যে শাসকের কাছে কতখানি আতঙ্কের, সেটা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্ষুব্ধ শ্রমিকের স্পর্ধা যাতে কোন অবস্থাতেই সমাজে নৈরাজ্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করার সুযোগ না পায়, তার জন্য আমদানি করা হয় নৈরাশ্যবাদী ধারণার। জীবন থাকলে দুঃখ দুর্দশাও থাকবে— প্রাচীনকাল থেকে এই ধারণার বীজ মানুষের মধ্যে রোপণ করার কাজ শুরু করল শাসকের তাঁবেদার শাস্ত্র বিশারদ বুদ্ধিজীবীরা। গত জন্মের কর্মফল হিসাবে ইহজগতে যে দুঃখ-কষ্টগুলি মানুষ ভোগ করছে, তা নিরসনের জন্য তারা সর্বশক্তিমানরূপী কোনও বিমূর্ত সত্তার কাছে মানুষকে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিল। যে আত্মসমর্পণের পোশাকি নাম ভক্তি। সংসার বন্ধন থেকে চিরতরে মুক্তিলাভের জন্য, পরমাত্মা বা ব্রহ্মে লীন হবার স্বপ্ন রচনা করে শাস্ত্রবেত্তাগণ মানুষের বুদ্ধি এবং তার মনের গতিবিধির উপর পূর্ণমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইল। বলা হলো— মোক্ষই হলো জীবের পরম লক্ষ্য।


        অথচ 'তৎ- ত্বম্ অসি' তত্ত্ব বলছে— তুমিই সেই ব্রহ্ম; অহম্ ব্রহ্ম অস্মি, আমি ব্রহ্ম; অয়ম্ আত্মা ব্রহ্ম, এই আত্মা ব্রহ্ম; প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম, প্রজ্ঞান হল ব্রহ্ম। অর্থাৎ 'আমি' এবং আমার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান তথা 'আমি' সম্পর্কিত আত্মোপলব্ধিই হলো মুক্তি বা মোক্ষলাভ। এহেন সহজ উপলব্ধিকেও ভাববাদী দর্শন জটিল সব ভাষ্য এবং ব্যাখ্যায় এমনভাবে সুত্রায়িত করল, যাতে মানুষ হয়ে গেল বিভ্রান্ত। অবশ্য সেটা করাই হয়েছিল শাসকের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। কারণ শাস্ত্রবেত্তাগণ জানতেন, মোক্ষ মানে আত্মোপলব্ধি— এই সহজ কথাটি স্বীকার করে নিলে, মানুষ বেশি বেশি করে নিজেকে ও তার চারপাশের জগৎকে জানতে, বুঝতে সচেষ্ট হবে। যা কখনোই শাসকের কাম্য নয়। যে কারণে তারা মানুষের সহজাত ক্ষমতাগুলিকে বিকশিত করার পরিবর্তে, তার সমস্ত সম্ভাবনাগুলি কেড়ে নিল মোক্ষের প্রলোভন দেখিয়ে। জীবনবোধ বর্জিত এবং খণ্ডিত সেই মোক্ষের ভাবনা কেবল ব্যক্তি স্বার্থকে উৎসাহিত করে বলেই, ভাববাদী দর্শনে মোক্ষ বা মুক্তির তাৎপর্য এবং ফলাফল সর্বদা ব্যক্তিকেন্দ্রিক। তথাকথিত সেই মোক্ষলাভের আকাঙ্ক্ষায় ব্যক্তি মানুষ নিজেই নিজের মধ্যে এমন এক জগৎ তৈরি করে ফেলল, যেখানে জাগতিক দুঃখ- দুর্দশা, যন্ত্রণা ইত্যাদি হয়ে গেল গৌণ। সামাজিক সমস্যাবলী থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে সে এমন এক কল্পনার জগতে বসবাস করতে পছন্দ করল, যে জগৎ শোষণ বঞ্চনার কারণগুলি বিশ্লেষণ করতে যেমন আগ্রহ দেখায় না, তেমনি তা থেকে মুক্তির সম্ভাব্য উপায়গুলির চর্চা থেকে বিরত থাকে। ফলে সামাজিক মুক্তির বিষয়টি অধরাই রয়ে গেল। বলাবাহুল্য, সমগ্র পরিকল্পনাটি রচিত হয়েছিল রাষ্ট্র তথা শ্রেণি স্বার্থে। যে কারণে মার্কস বললেন— এই বিচ্ছিন্নতার সমাধান হতে পারে রাজনৈতিক উপায়ে, রাষ্ট্রের উচ্ছেদ ও ধ্বংস সাধনের মাধ্যমে। লেলিন তার সাথে যুক্ত করলেন রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে শ্রমজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আবশ্যিকতা।
        আমার শ্রম সমাজের কোনও না কোনও প্রয়োজন মিটিয়েছে, এই সন্তুষ্টি জীবনের প্রকাশকে উপভোগ্য করে তোলে বলেই তা শ্রমশক্তির অপার সম্ভাবনা ও ক্ষমতাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দেয়। যা মানুষ এবং সমাজের মধ্যে সংবেদনশীল একটি একাত্মতার সেতু গড়ে তুলতে পারে। গভীর মমতায় যে সেতুটি গড়ে তোলার কাজে হাত লাগিয়েছিল সমাজতান্ত্রিক সমাজ। যার অপর নাম বিশ্বমানবতা। যেখানে গভীর থেকে গভীরতর হয় মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং সম্মানবোধ। 


          প্রশ্নোপনিষদের ষষ্ঠ প্রশ্নের আলোচনায় ভারতীয় দার্শনিকেরা যেভাবে মনের সাথে শ্রদ্ধার বিষয়টিকে যুক্ত করার প্রয়াস করেছিলেন, যুগের নিরিখে তা ছিল এককথায় অনন্য। তাঁদের অভিমত ছিল, 'শ্রদ্ধা হলো যাবতীয় শুভ কর্মের প্রেরণা। সৃষ্টির মূলে শুভ ইচ্ছার প্রেরণা না থাকলে অচেতন জড় শক্তি দ্বারা এই বিশ্ব সৃষ্ট হতে পারে না।' সেই শুভ ইচ্ছাই তো মানব কল্যাণ। সুতরাং মানব কল্যাণে উৎপাদনের সন্তুষ্টি এবং তার অনিবার্যতা ভাববাদী দর্শনও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু সেই জ্ঞান চর্চা যখন থেকে ভক্তি চর্চায় পর্যবসিত হয়, তখন থেকেই শুভ ইচ্ছা মোক্ষ নামক আত্মকেন্দ্রিকতার নিগড়ে বাঁধা পড়তে থাকে। যার অনিবার্য পরিণতিতে গণউদ্যোগের গুরুত্বও কমতে থাকে। আহত হয় বিপ্লব বোধ। সমাজতত্ত্বের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, পুঁজি ও শ্রমের দ্বন্দ্বে শাসকের বিদ্ধ হবার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বিচ্ছিন্নতার অভিঘাতে চূর্ণ- বিচূর্ণ হয়ে গেল শ্রমিকের সমস্ত সত্তা। অসহায় সেই খণ্ডিত মানুষের ক্রমবিচ্ছিন্নতা আমার 'আমি'কে বাধ্য করল নিঃসঙ্গ জীবনযাপনে। নিঃস্ব- রিক্ত, নিঃসঙ্গ সেই জীবন অগত্যা আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরে আমার 'আমি'-কে ঘিরে বেড়ে ওঠা অলীক স্বপ্নগুলিকে। হয়ত সেই জন্যই, বেকারত্বের জ্বালায় পাংশু বিবর্ণ হয়ে যাওয়া মুখগুলিতে কিংবা কাজ হারানোর ক্ষোভে যন্ত্রণায় ছলছল চোখের শ্রমিকের মধ্যেও সেই আকুতি দেখিনি, যা ফুটে ওঠে ফেসবুকে রিচ কমে যাওয়ার অভিব্যক্তিতে। পুঁজিবাদ তো এটাই চায়। আমার 'আমি'-কে ঘিরে মগ্নতা তৈরি হোক গোটা সমাজে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে গড়ে উঠুক আত্মকেন্দ্রিকতা, আত্মবিচ্ছিন্নতা। সেটা উপলব্ধি করেই হয়ত একদিন সলিল চৌধুরির বিপ্লববোধ বার্তা দিয়েছিল:


     'এবার আমি আমার থেকে আমাকে বাদ দিয়ে, 
     অনেক কিছু জীবনে যোগ দিলাম।
     ছোট যত আপন ছিল বাহির করে দিয়ে 
     ভুবনটারে আপন করে নিলাম।' …

Comments :0

Login to leave a comment