China-India relations

চীন- ভারত সম্পর্কের সঙ্গে দেশের রাজনীতিও জড়িত

সম্পাদকীয় বিভাগ

China-India relations


মহান ভারত, মহান চীন। বিশ্বে প্রাচীন সভ্যতার জীবন্ত প্রতীক চীন। আমাদের দেশ ভারত অথবা মধ্য এশিয়ার দেশগুলি বিশেষ করে ইরান, ইরাক, মিশর, জর্ডন প্রভৃতি অনেকগুলি দেশ অতীত সভ্যতার ধারাবাহিকতা ইতিহাসে বহন করে চলেছে। চীন প্রকৃতপক্ষে কখন বিদেশি শক্তির অধীনে ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সাময়িকভাবে জাপান নিজে ধ্বংস হবার আগে চীনের উপর চরম অত্যাচার নামিয়ে আনে। এমনকি চীনকে বাধ্য হতে হয়েছিল রাজধানী নানকিন  থেকে বেজিঙে সরিয়ে নিয়ে যেতে। চীন বা বিশ্বমানবতার স্মৃতিতে চীনের উপর ফ্যাসিবাদী অত্যাচারের স্মৃতি আজ ও অমলিন আছে। বিশেষ করে জাপ সৈন্যদের মনোরঞ্জনের জন্য হাজার হাজার চীনা মেয়েদের উপর যে ভীষণ অত্যাচার, নির্যাতন বলাৎকার করা হয়েছিল।


আমাদের দেশ ভারত বর্তমান মানচিত্রে যেভাবে আছে তাকে ধরলে সে কোন মুহূর্তে স্বাধীন হয়েছিল সে ব্যাপারে আরএসএস- সবজান্তা মমতাদিদি যদি আলোকপাত করেন তাহলে দেশবরেণ্য ঐতিহাসিকরা বিবেচনা করে দেখতে পারেন। কবিকে তাই বলতে হয়েছে শক হূণ দল পাঠান মোগল একদেহে হলো লীন। অর্থাৎ ভারতবর্ষে যারা এসেছে, আক্রমণ বা সম্পদ দখলের জন্য তারাও শেষ পর্যন্ত এখানেই মিশে গেছে। ব্রিটিশরা দেশ দখল করেছে দেশকে নাকি উন্নত করতে, আসলে লুটকে আধুনিক করার জন্য অর্থাৎ আরও বেশি লুট করার জন্য। আমাদের দেশে উত্তরে হিমালয়, দক্ষিণ, পশ্চিম, পূবে মহাসাগর। অর্থাৎ ভূখণ্ডে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা উত্তরদিকে হিমালয়ের বুক চিরে চীন-তিব্বত হয়ে চীনের করা সিল্ক রুটের পিঞ্জর ঘেঁষে ইউরোপের নানান প্রান্তে আর মধ্য এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য নানান দেশে ব্যবসা বাণিজ্য এবং শত শত বছর আগে হিউ-এন-সাঙের মতো পরিব্রাজক যারা এসেছিলেন তাদের মাধ্যমে চীন ভারত পরস্পরকে চেনার চেষ্টা করছিল।

তবে একথা বলা প্রয়োজন এই রাস্তা দিয়েই মধ্য প্রাচ্য থেকে আর্যরা হাজার হাজার বছর আগে হিন্দুস্তানে এসেছিলেন এবং ক্রমান্বয়ে আমাদের দেশটাকে দখল করে নিয়েছিলেন। ইতিহাসে এই সম্বন্ধে দ্বিমত নেই। কিন্তু আরএসএস-র ইতিহাস চর্চায় আর্যরাই হিন্দু, তারা আমাদের দেশেরই আদি বাসিন্দা। তারা অবশ্য এ ব্যাপারটায় জোরাজুরি করতে পারে না যে বিন্ধ্য পর্বতের ওপারে ভারতের প্রাচীর হয়ে যে সব জনপদ আছে তাদের ভারতীয়ত্বের উৎপত্তি কীভাবে হলো।

ভারতের সাথে চীনের মিলের জায়গাগুলি অনেক বেশি। উভয় দেশই বিশাল ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত। আর জনসংখ্যার দিক দিয়েও পৃথিবীর এক নম্বর ও দুই নম্বরে। এতদিন এক নম্বরে ছিল চীন, এখন ভারত। দু’টি দেশেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পক্ষে জনমত। তবে সেটা কেন্দ্রীয় সরকারকে দুর্বল করে নয়। দু’টি দেশকেই দারিদ্র এবং বৈষম্যের নাগপাশ থেকে মানুষকে, বিশেষ করে কৃষক সমাজকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে হয়েছে। চীন এবং ভারত উভয় দেশেরই নিজস্ব মতাদর্শ আছে। স্বাভাবিক কারণেই দু’টি দেশের মধ্যে পার্থক্যও আছে বিস্তর। দু’টি দেশের মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মেই তো বটে, বাস্তবিক ও গুরুতর বৈষম্য বিদ্যমান। শুধুমাত্র হিমালয় পর্বতমালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিরাট উচ্চতায় থাকা কিছু জনপদ আর তাদের সাথে থাকা শহর ও গ্রামগুলির মধ্যে আছে বেশ অনেকগুলি পার্থক্য।  

চীন দেশটা আমাদের চাইতে বড় এটা উল্লেখ করা হয়েছে আগেই। কিন্তু চাষের প্রশ্নে আমাদের ভারতে জমির পরিমাণ বেশি। কারণ চীন দেশটার মধ্যে রয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত গোবি মরুভূমি যেখানে ঘাসই জন্মায় না তো ধান! আর চীনের সিনজিয়াং প্রদেশ এবং তিব্বতি উপত্যকা সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র জ্ঞান আছে তাঁরা জানেন যে বিস্তীর্ণ উপত্যকা জুড়ে দুর্ধর্ষ শীত ও পাথুরে মাটিতে চাষের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ফলে আকারে বড় হলেও চীন ভারতের চাইতে কম চাষ যোগ্য জমিতে নিজেদের বদ্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।


চীনের বিপ্লব হবার দুই বছর আগে আমাদের স্বাধীনতা হওয়া সত্ত্বেও আজ চীন কোথায় আর আমরা কোথায়? যদিও ভারতবাসী হিসাবে আমরাও চাই ভারত দ্রুত এগিয়ে যাক। এমনকি কৃষিকাজেও তারা উন্নত ধরনের ফলাফল দেখাচ্ছে। অশিক্ষা, দারিদ্র আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফাঁকা আওয়াজ দেয় না। তাদের সরকারের আত্মসমালোচনা তারা খুল্লম খুল্লা করে থাকে। এখন যে কটি সমস্যা আছে – এলাকাগত বৈষম্য, দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং দারিদ্রসীমার মানদণ্ডটি পরিবর্তন করে উচ্চতর সীমায় নিয়ে গিয়েই তারা এ কাজ সম্পন্ন করতে চেষ্টা করছে। চীনের পার্টির সদস্য সংখ্যা নয় কোটি। ইউরোপের অনেক দেশের জনসংখ্যার থেকে বেশি। তবুও তারা বিজেপি-র মতো পৃথিবীর সবচাইতে বড় পার্টি হবার দাবি করে না। চীনে গ্রাম শহরের ফারাক আরও কমাতে হবে এটা নেতৃত্ব তাদের কমিটিতে আত্মসমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন এবং ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করেন। তা সংশোধন করার জন্য পার্টি ও সরকারের যৌথ প্রয়াসও গ্রহণ করেন।

যদিও কে কবে স্বাধীনতা পেয়েছে এবং নিজের ইচ্ছা বা পরিকল্পনামত দেশের ভালো করতে শুরু করেছে সেটা বিবেচ্য, যেখানে ভারত সময় পেয়েছে ১৯৪৭ সাল থেকে , আর চীন লং মার্চের (১৯৪৯) এর পর – মানুষ এবং সশস্ত্র বিপ্লবীদের রাজধানী বেজিঙ দখল করে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে। ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে লাগাতার স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিভিন্ন পথের মিশ্রণ ঘটিয়ে বিশাল ভারতের মুক্তি ঘটায়। সেখানে গান্ধীজী এবং কংগ্রেসের ভূমিকা অস্বীকার করা বাতুলতা মাত্র – এটা বিজেপি-র পক্ষেই সম্ভব। শহীদদের তালিকা বা সেলুলার জেলে বন্দিদের তালিকা -কোথাও বিজেপি-কে পাবেন না। অন্যদিকে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করলে যা করতে পারে সোভিয়েত রাশিয়া তা করে দেখিয়েছে। চীন ও সোভিয়েত রাশিয়া সমাজতন্ত্রকে সামনে রেখে, এশিয়া, ইউরোপের উন্নয়নের অভিমুখ বুঝে এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মূল বক্তব্য কার্যকর করার প্রচেষ্টা শুরু করা, যা সম্পূর্ণ নতুন এক ব্যবস্থার জন্ম দিল তা চীনের জনগণতন্ত্র নামে বিশ্বময় আজ পরিচিত।            

চীন আমাদের প্রতিবেশী এবং প্রতিবেশী নির্বাচন করার ক্ষমতা কারুর নেই। সে কারণে ছোট হোক মাঝারি হোক, সব প্রতিবেশীর সাথেই সখ্য বজায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। মাথা গরম করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলে ভারতের মতো দেশের চলে না। মাটির সাথে সংযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশীর কথা যদি ধরি তাহলে অন্ততপক্ষে চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল,ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ আমাদের প্রত্যক্ষ প্রতিবেশী। অন্যদিকে কার্যত প্রতিবেশী হিসেবে ধরা যায় আফগানিস্তান, মায়ানমার, ইরান, ইরাক, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ ইত্যাদি দেশগুলিকে। ভারতের বিদেশনীতির অপরিপক্বতার দৌলতে এইসব দেশগুলির মধ্যে কাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে আর কত দেশের সাথে খারাপ আছে  তা বিচার করলে ভারতের অসহায়তা খানিকটা ফুটে ওঠে।

 


আমাদের দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম, মাস্টারদা সূর্য সেন, বিনয়-বাদল-দীনেশ সহ অসংখ্য বিপ্লবীরা স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ হিসাবে সশস্ত্র বিপ্লবের কথা ভেবেছেন। আর তা প্রচার ও করেছেন। দেশবাসীর আশীর্বাদ তারা পেয়েছেন সেটা সঙ্ঘ পরিবার বা তাদের চালিকা শক্তি আরএসএস জানে এবং খুঁজে পেতে ওদের এক নেতা সাভারকারকে ওরা ধরে আছে যিনি নাকি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে ব্রিটিশের হাতে আন্দামান জেলে কাটিয়েছিলেন। সরকারে এসে মোদী তো আহ্লাদে আটখানা, এখন সাভারকারের নাম দিয়ে এয়ারপোর্ট বানাচ্ছেন। মোদী যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সংগ্রামীদের কথা ভুলিয়ে দিতে চাইছেন এবং সঙ্ঘ পরিবারের হিন্দু-রাষ্ট্র বানাবার জন্য উনি ইতিমধ্যেই, আরএসএস-র শতবর্ষ পূরণের আগে নতুন পার্লামেন্ট ভবন, রাজপথকে ছাপিয়ে উনি নতুন স্বরপথ দিল্লিতে গড়ে তুলেছেন। ভেঙেচুরে অতীতের কয়েকটা মূর্তি বা সৌধ অথবা দেশের বীর শহীদদের রক্তদান ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য, নিজের নামে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম গড়ে বা মুসলমানদের দেশছাড়া করার এবং ঔরংজেব যদি হিন্দুদের মন্দির ভাঙতে পারে, সেই যুক্তিতে বাবরি মসজিদ চুরমার করে দিয়ে নতুন করে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এবং সঙ্ঘ পরিবারের নামে অযোধ্যায় মন্দির বানানোর কাজ চালাচ্ছে।  



এর পর টার্গেট মথুরা এবং কাশীতেও এরকম মুসলমানদের ধর্মীয় স্থান ভেঙ্গে হিন্দুদের ধর্মস্থান বানানো। এইসব কারবার এদেশে ছিল না, বিজেপি-ই চালু করেছে। কিন্তু কি করবেন? রাজ্য থেকে মুসলিম লিগ উঠে গেল। সাধারণ মুসলমান মানুষ দেশভাগের পরও এদেশকে ভালবাসেন। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে রাজ্যে মমতার আশীর্বাদধন্য হয়ে এবং মায়ের তৈরি মালপোয়া বাজপেয়ীকে খাইয়ে হিন্দুরা মুসলমানদের সহ্য করতে পারে না  - প্রবল ঝড়ের বেগে এই প্রচার চালিয়ে বাংলার সংখ্যালঘুদের ভোট পাওয়ার জন্য যত রকমের ফন্দিফিকির আছে তা করে মমতা বিজেপি হিন্দুদের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে এবং ঠিক বিধানসভার কায়দায় ভোট করিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে জিততে চাইছে। 
আজ আবার জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সময়কার মতো অবস্থা বিশ্বে বিরাজমান। দেশগুলি জোট পাকাচ্ছে, নানা অজুহাতে একের পর এক নতুন নতুন নাম এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য এই জোটগুলি তৈরি করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে জোটের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে। কারণ একেকটি জোটে যেমন কয়েকটি দেশকে খুশি করছে তেমনই কয়েকটিকে অখুশি করছে।


একটা রাজ্যে বিশেষ করে আমাদের সমতুল রাজ্যে কোনও একটা দল ভোটে জিতে যদি সরকার গঠন করে এবং মুখ্যমন্ত্রী হয় আর তৃণমূলের মতো একটা রাজনৈতিক দল যারা সারাদিন রাজনীতি ছাড়া আর সব কিছু করে, নেত্রী যদি বার বার মিটিং এ বলেন যে সব সমস্যা প্রায় মিটিয়ে ফেলেছি বাকিটা মোদীকে ‘একটু টাইট দিন’ (খেয়াল রাখবেন একটু মানে একটুই) এবং সেটা কোন স্তরে দিতে হবে তা আমার সোনার টুকরো ছেলেরা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বুঝিয়ে আসবে।                                                                                                                                   বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে আমরা মমতাকে দেখেছি। রাজ্যে একটাও বড় শিল্প আসেনি। আনার জন্য কোনও চেষ্টাও করেননি। অন্যদিকে আনার চেষ্টা করেছে বামফ্রন্ট—  বিশেষ করে জ্যোতিবাবুর হলদিয়া, বক্রেশ্বর, সল্ট লেক ইলেক্ট্রনিক্স প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সফলকাম হবার পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সরকার যখন সামগ্রিকভাবে বাংলার মানুষকে বুঝিয়ে শিল্পায়নকে একটি আন্দোলনের পর্যায়ে উন্নীত করতে সচেষ্ট তখন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে মমতা বুঝিয়ে দিলেন তার বিরোধিতার ধরন কি হবে। সরকারে থাকা অথবা বিরোধী দলে থাকার সময়ে আমরা কিছুটা বুঝেছি বিরোধী দলের ভূমিকা কি হওয়া উচিত। এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলি এবং নেতৃবৃন্দের মানুষের সাথে কোনও রাজনৈতিক নৈতিকতার সম্পর্ক থাকবে কিনা – এই বিরাট প্রশ্নের জবাব আজ না দিলেও কাল আকাশচারীদের দিতেই হবে। এড়াতে পারবেন না।                

       
কিভাবে  নুসলি ওয়াদিয়ার  (পাকিস্তানের স্রষ্টা জিন্নার নাতি, মুম্বাইবাসী,  বোম্বে ডাইং এর মালিক) পয়সায় কার্যত বিজেপি প্রথম দিকে চলত, এখন পূত পবিত্র হাজার হাজার কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ড বিজেপি-র তহবিলে (কে দেখে কে জানে)  জমা পড়ছে। সেই জমাখরচার হিসাব দিতে হয় না। আগামী দিনে জনগণকেই এর হিসাব নিতে হবে। যদিও বিজেপি-র বানিয়া নেতা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে আগামী দিনে আসছে দেশে বিজেপি-র যুগ। অর্থাৎ সারা দেশে বিজেপি একাই থাকবে।

এই বিজেপি-র পঞ্চায়েতে অথবা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে কোনও বিশ্বাস নেই। তারা খোলা মেলা যেটুকু বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলে, তাও অনেক চেষ্টার পর, অনেক কষ্টে তার মধ্যে পঞ্চায়েত এবং পুরসভাকে জ্যান্ত রাখতে ওরা খুব চিন্তিত এটা মনে হয় না। ভাষার ক্ষেত্রেও তাই। শুধু চাই হিন্দি। অন্য ভাষার কি হবে তা নিয়ে ওদের কোনও দায় দায়িত্ব নেই। মমতার সাথে মোদীর একা একা বার বার বসা চাই – সংসারী ভারতকে ভাবাচ্ছে। এসবের প্রতিফলন জনগণের রাজনৈতিক রায়ে অবশ্যই ফুটে উঠবে। নির্বাচনের তাৎপর্য এখানে।

Comments :0

Login to leave a comment