‘স্থায়ী কাজ দাও, বিভাজন রুখে দাও’- এই কেন্দ্রীয় স্লোগানকে সামনে রেখেই ডিয়াইএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে উত্তরকন্যা চলো’র ডাক দেওয়া হয়েছিল। জনজীবনের ইস্যু, সাধারণ মানুষের প্রতিদিনকার জীবন যন্ত্রনার কথা, বেকারের হাতে কাজের দাবি- শুধু সেটুকুই জানাতে উত্তরকন্যায় অভিযান ছিল যুবদের। কিন্তু পুলিশ দফায় দফায় আটকে দিয়েছে মিছিল। মিছিলে যোগ দিতে আসা বহু যুবকর্মীদের গাড়ি আটকে দেয়।
উত্তরকন্যা অভিযানে ডিওয়াইএফআই'র সেই শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। সেই সঙ্গে জলকামান, টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটাতে শুরু করে। পুলিশের পাথরের আঘাতে বহু যুব কর্মী আহত হওয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিনাক্ষী মুখার্জী, ধ্রুবজ্যোতি সাহা,কলতান দাশগুপ্ত, জলপাইগুড়ির যুবনেতা দেবরাজ বর্মন, বেদোব্রত ঘোষ, কোচবিহারের শুভ্রালোক দাস, শম্ভু চৌধূরী সহ ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে এনজেপি থানায় নিয়ে গেছে। ৫ জন গুরুতর জখম পুলিশের লাঠির আঘাতে। তাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। এদিন রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলে নি অনেক যুব কর্মীর। এদিন রাত পর্যন্ত আটক নাকি গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাও স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিশ।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সমস্ত যুব কর্মীদের নিঃস্বার্থ মুক্তি ও আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার দাবি জানিয়ে এদিন রাতে জলপাইগুড়ি সিপিআই(এম) জেলা দপ্তরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। কদমতলা কামারপাড়া বিনবাজার মার্চেন্ট রোড হয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সামনে গিয়ে থানার গেট আটকে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন যুব নেতৃবৃন্দ। তাঁর বলেন কাজের দাবিতে উত্তর কন্যা অভিযানের শান্তিপূর্ণ মিছিলে সামিল হওয়া যুব নেতৃবৃন্দকে নির্লজ্জ ভাবে লাঠিচার্ট করেছে দলদাস পুলিশ তিনবাতি এলাকার বিভিন্ন গলিতে ঢুকিয়ে পুরুষ পুলিশ মহিলৈ ওপর লাঠিচার্জ করেছে। অবিলম্বে সমস্ত যুবদের নিঃস্বার্থ মুক্তি না দিলে গোটা রাজ্য জুড়ে পথে নামবে সিপিআই(এম)।
Uttarkanya Abhiyan
পুলিশের নির্লজ্জ লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ মিছিল

×
Comments :0