Dr. SUBARNA GOSWAMI

দুর্নীতির গবেষণাগার হয়েছে আরজি কর, বলছেন ডা: সুবর্ণ গোস্বামী

রাজ্য

আরজি করের ঘটনার নিন্দা করছে সমস্ত মহল। মানুষ চাইছে বিচার এবং যারা তথ্য প্রমাণ লোপাট করলো তাদের শাস্তি। আরজি করের ঘটনার কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এবং দীর্ঘ দিন ধরে এই দুর্নীতির চক্র চলছে। আরজি করের প্রাক্তনী এবং চিকিৎসক আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুবর্ণ গোস্বামী এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন (দেখুন ভিডিও)
তিনি বলেন, "সারা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ২০২১’র বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে একটা গুণগত পরিবর্তন হলো। এর আগেও দুর্নীতি ছিল। ১০ বছর আগে শাসক দলের এক মন্ত্রীর ছেলে পরীক্ষা দেবে বলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে নতুন একদল শাসক ঘনিষ্ঠ লোক এগিয়ে এলো যারা নিজেদেরকে সরাসরি শাসকপন্থী বলে দাবি করল এবং তাঁরা রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য দপ্তর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- এই সব জায়গাতে অপরাধীদের চক্র থাবা বসালো।"
তিনি বলেন, ‘‘আরজি করের চিকিৎসক-ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নজিরবিহীন। সারা পৃথিবীর মেডিক্যাল ইতিহাসে কোনো দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত নেই যে ডিউটিরত অবস্থায় একজন মহিলা চিকিৎসক তাঁর নিজের হাসপাতলে নৃশংস ভাবে ধর্ষিতা ও খুন হচ্ছেন। রাজনৈতিক মদত ও প্রশাসনিক প্রশ্রয় ছাড়া যা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।’’ 
চিকিৎসক গোস্বামী সাক্ষাৎকারে দুর্নীতিচক্র প্রসঙ্গে আরো বলেন, "আরজি করকে তাঁরা নতুন নতুন দুর্নীতির পন্থা বের করার গবেষণাগারে পরিণত করল। মৃতদেহ নিয়ে যে ব্যবসা করা যায় সেটা এরা প্রথম দেখালো। হাসপাতালের বর্জ্য প্রতিবেশী দেশে চোরা চালান করে সেখান থেকে পয়সা রোজগার করা যায় সেটা দেখালো।’’ তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের বলা হলো তোমরা যে যত টাকা দেবে তত নম্বর পাবে, সর্বোচ্চ নম্বর পেতে গেলে সবচেয়ে বেশি টাকা দিতে হবে। যারা বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বা যে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললো তাঁকে ফেল করিয়ে দেওয়া। এই যে সংস্কৃতি গড়ে উঠলো তখনই আমরা চিকিৎসক সংগঠন গুলোর তরফে এক জোটে একাধিকবার রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসন মহলে চিঠি দিয়েছি কোনো উত্তর পাইনি।"
‘মার্কসবাদী পথ’-র নেওয়া এই সাক্ষাৎকারের অংশ ‘গণশক্তি’-র ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও দেওয়া হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment