Monda Mithai

বিজ্ঞাপনে রঙ্গ রস ও শরৎ পন্ডিত

ছোটদের বিভাগ

Monda Mithai

কৃশানু  ভট্টাচার্য

সেকালের  কলকাতায় তখন সুভাষচন্দ্র বসু আর যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর জোর লড়াই।  আর সে সময়েই কলকাতার এক নামি প্রসাধন দ্রব্য বিক্রেতা তার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করবেন। তার কাছে ছিল সেকালের কলকাতার বহু নামিদামি মানুষের প্রশংসা পত্র। বিজ্ঞাপনের শিরোনাম লেখার জন্য ডাক পরল জঙ্গিপুর সংবাদ আর বিদূষকের সম্পাদক তথা প্রকাশক শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের। কয়েকদিন বাদে লিবার্টি কাগজে মোটা হেডলাইনে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হল। তাতে লেখা Subhash Chandra and Sengupta agrees। নিচে সুভাষচন্দ্র বসু ও যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত স্বাক্ষর করা দুটি প্রশংসাপত্র। দুজনেই ওই প্রসাধন দ্রব্য ব্যবহারের ব্যাপারে সকলকে উৎসাহিত করছেন। বলাবাহুল্য সেকালের কলকাতায় এ বিজ্ঞাপন তুমুল আলোড়ন তুলেছিল।


শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদা ঠাকুর বাংলাদেশে পরিচিত তার রঙ্গ রসিকতার জন্য। কিন্তু এ পরিচয় এর আড়ালে রয়ে গেছে তার সাংবাদিক সত্তা। নিজের কাগজের জন্য তো বটেই অন্যের কাগজের জন্যও তিনি নিয়মিত বিজ্ঞাপনের শিরোনাম লিখতেন। সে সময়ে একটি জনপ্রিয় তেল ছিল জবা কুসুম। দাদা ঠাকুর একটি জবা ফুল আরেকটি জবাই কুসুম তেলের শিশির ছবি দিয়ে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিলেন। শিরোনাম ছিল সাধনে জবা কুসুম প্রসাধনে জবাকুসুম। নিজ উদ্যোগে 1914 সালে শুরু করেছিলেন জঙ্গিপুর সংবাদ নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র। আর ১৯২২ সালে কলকাতা থেকে তিনি প্রকাশ করেছিলেন সচিত্র সাপ্তাহিক পত্রিকা বিদূষক। কাগজের প্রয়োজনে ই বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। রসিকতা করে বলতেন কাগজ তাকে পথে নামিয়েছে।


গত ১৩ই বৈশাখ ছিল জঙ্গিপুরের এই সুসন্তানের জন্মদিন এবং মৃত্যু দিন।
তিনি বলতেন তিনি এক কথার মানুষ। তার জন্ম সাল ছিল ১৮৮১। যেদিক দিয়েই পড়া হোক না কেন তা একই থাকে। তার প্রয়াণ ১৩৭৫ বঙ্গাব্দের ১৩ই বৈশাখ।
 

Comments :0

Login to leave a comment