কালনার আশাকর্মীর বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সোমবার তীব্র বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, আধিকারিকদের স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এদিন আশা কর্মীদের সঙ্গ দেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী অঞ্জু কর, জনা মুখার্জী প্রমূখ। উল্লেখ্য গত শনিবার কালনা ১ ব্লকের অন্তর্গত রুস্তমপুর গ্রামের একজন আশা কর্মীর বাড়িতে চল্লিশ পঞ্চাশ জন আগন্তুক হামলা করে। প্রাণে মেরে ফেলা, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, জমির ফসল নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এই হুমকির আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে আশা কর্মীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। তাঁকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এইরকম আরো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় সোমবার কালনা ১ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিরের মোদপুরস্থিত দপ্তরের সামনে আশা কর্মীরা জমায়েত হন। সেখানে স্বাস্থ্য আধিকারিকের প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর আশা কর্মীরা বর্ধমান -কালনা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আশা কর্মীদের অভিযোগ অবরোধের সময় স্থানীয় পঞ্চায়েতের কয়েকজন প্রতিনিধি বলপূর্বক অবরোধ হটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আশাকর্মীদের তীব্র প্রতিরোধে তাদের পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবরোধ ওঠার পর সেখান থেকে আশাকর্মীরা লিচুতলা স্থিত কালনা ১ বিডিও দপ্তরে চলে এসে দেখেন বিডিও নেই। দপ্তরের সামনে চলে চরম বিক্ষোভ। শেষে জয়েন্ট বিডিও আশা কর্মীদের ডেকে স্মারকলিপি জমা নেন।
এই কর্মসূচি চলাকালীন বিডিও দপ্তরে চলে আসেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেতৃত্বরা। তারাও বিক্ষোভ অংশগ্রহণ করেন। মহিলা নেত্রী অঞ্জু কর বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাই আবাস প্লাস সমীক্ষায় ব্যাপক কারচুপি ধরা পড়ছে। আবাস যোজনার তালিকা তৈরি সময় স্বজন-পোষণ হয়েছে। তাই দু তিন তালার বাড়ির মালিকদের নামও তালিকায় স্থান পেয়েছে। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সমীক্ষায় তা ধরা পড়ছে। ফলে তাদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এসব চলতে দেওয়া যায় না। প্রতিবাদে সবাইকে সরব হতে হবে।
Comments :0