সম্ভালে মসজিদে সমীক্ষা ঘিরে ৫ জনের মৃত্যুতে লোকসভায় আলোচনার দাবি তুলল সমাজবাদী পার্টি। উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দলের সাংসদ ডিম্পল যাদব জানিয়েছেন যে অধ্যক্ষ আলোচনা করাতে সম্মত হয়েছেন।
ডিম্পল যাদব সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বলেছেন, ‘‘কেবল সম্ভাল নয় উত্তর প্রদেশের সর্বত্র জনতাকে হেনস্তা করছে পুলিশ। আগে এফআইআর দায়ের করে দিচ্ছে। তারপর তদন্তের নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। তথ্যের কারচুপিও করছে পুলিশ।’’
উত্তর প্রদেশের সম্ভালে শাহী জামা মসজিদে সমীক্ষার জন্য আবেদন জমা পড়ে নিম্ন আদালতে। আবেদনে বলা হয় ষোড়শ শতকে একটি মন্দির ভেঙে এই মসজিদ গড়া হয়েছে। নিম্ন আদালতও অনুমতি দিয়ে দেয়।
এমনই আরেকটি আবেদন জমা পড়েছে রাজস্থানে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির আজমেঢ় দরগা ঘিরেও। এর আগে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে আবেদন এবং নিম্ন আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা হয়েছে।
আদালতের বাইরে উগ্র হিন্দুত্বাবদী শক্তিকে আরএসএস-বিজেপি’র মদতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতেও দেখা গিয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ সংসদ ভবনের বাইরে বলেছেন, ‘‘একের পর এক জায়গায় মন্দিরত-মসজিদ ঘিরে উন্মাদনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে কারও ভোট নিশ্চিত হতে পারে, সরকার নিশ্চিত হতে পারে, কিন্তু দেশকে ভাগ করা হচ্ছে। শান্তি এবং সম্প্রীতি গড়েই সামনে এগতে পারে দেশ।’‘
সম্ভালে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। কিন্তু এই বক্তব্য খারিজ করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়াউর রহমান বর্ক। তিনি বলেছেন,‘‘সমীক্ষার নাম করে গত রবিবার ভোট থেকে উত্তেজনা তৈরি করে পুলিশই। গুলিতে পাঁচ যুবকের মৃত্যু বেদনার। এখন পুলিশই ভুয়ো অভিযোগে এফআইআর দায়ের করছে।
উল্লেখ্য, সম্ভালের ঘটনায় প্রায় ২০০০ জনকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। সাংসদ বর্কের নামও রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়। বিজেপি আবার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ বর্ক এবং স্থানীয় বিধায়ক ইকবাল মেহমুদের মধ্যে বিরোধের তত্ত্ব খাড়া করেছে। বলা হচ্ছে, তুর্কি বর্ক এবং পাঠান মেহমুদের মধ্যে বিবাদের জেরে সম্ভালে উত্তেজনা। এই তত্ত্ব সমাজবাদী পার্টি খারিজ করেছে।
Sambhal Parliament
সম্ভালে মসজিদে সমীক্ষা ঘিরে ৫ মৃত্যুতে আলোচনায় সম্মতি অধ্যক্ষের
×
Comments :0