উন্নয়নে কতটা ভাসছে সেটা মনে না করতে পারলেও রবিবার সন্ধ্যার বৃষ্টির জলে ভাসছে হুগলী জেলার একাধিক পৌরসভা এলাকা। যার জেরে তিতিবিরক্ত পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
এবার শ্রাবণে তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে রবিবার বিকেল থেকে হঠাৎ প্রবল বর্ষণে শ্রীরামপুর রিষড়া উত্তরপাড়া হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমেছে। শ্রীরামপুর কুমীরজলা রোডের কাছে কার্যত নদীর মতো জলে প্লাবন দেখা যায়।
শ্রীরামপুর স্টেশনে আসা নাগরিকেরা অনেকেই গোড়ালি সমান নোংরা জল মাড়িয়েই যাওয়ার চেষ্টা করেন। শ্রীরামপুরের বাসিন্দা দুলাল নন্দী বলেন, ‘‘শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা আর আন্ডারপাস তো হুগলী জেলার চেরাপুঞ্জি বলা চলে। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। এ নিয়ে কি আর বলব?’’
পথযাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘নোংরা জলে বড় কষ্ট হয়। পচা জলে পায়ের নখে সংক্রমণ হয়ে যায়। বৃষ্টিতে জল জমা শ্রীরামপুরে কোন নতুন বিষয় নয়, কী আর বলি?’’
পাশের বৈদ্যবাটি পৌর এলাকার চাতরা ও বৌবাজারের আন্ডারপাস। রিষড়া ও উত্তরপাড়া পৌর এলাকায় জল জমার খবর মিলেছে।
যদিও বৃষ্টিতে হুগলী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার চাষীরা খুশি। এদিন তারকেশ্বর সহ হুগলী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার চাষীরা জানান, সবটা না হলেও এই বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও সেচের জল মিলেছে। বর্ষার ধানের ফলন কিছুটা হলেও ভালো হতে পারে। তবে পাটের ফলন এবার ভালো হলেও তেমন দাম মিলছে না তেমন। ধানের দর পাচ্ছেন না কৃষকরা তবে চালের দাম দিন দিন বাড়ছে।
সারা ভারত কৃষকসভার হুগলী জেলা সম্পাদক স্নেহাশীষ রায় জানান, প্রকৃতি তো চাষীর কান্না বোঝে। সরকার কি বোঝে? বৃষ্টিতে সেচের জল কিছুটা এল। কিন্তু মিনি ডিপ চালানোর জন্য বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচ বিষয়ে কি ভাবছে সরকার? পাটের দাম নেই। বর্ষার ধানের ফলন যদি ভালোও হয় চাষীরা কি সঠিক দাম পাবেন? আগামী দিনে এরকম চলতে থাকলে চাষ হবে?
Comments :0