PANIHATI TMC INNER CLASH

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পানিহাটি, গোলমাল মমতার ভাষণ শুনে ফিরেই

জেলা

তৃণমূল নেতা বুবাইয়ের দপ্তর ভাঙচুরের পর। ছবি: অভিজিৎ বসু

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে তপ্ত হয়ে উঠল পানিহাটি। এক পক্ষ অন্য পক্ষের অফিস ভাঙচুর করল সোমবার। চেয়ার বের করে ভাঙচুর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে তৃণমূলের এক নেতাকে মারধরের প্রতিক্রিয়া পড়েছে এদিন। রবিবারই ধর্মতলায় জনসভা থেকে ভাষণ দেন তঋনমূল নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
অভিযোগ, পানিহাটি পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি সুমিত পালকে মারধর করে এলাকারই কিছু দুষ্কৃতী। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় সোদপুর অমরাবতীর কাছে সুমিতকে রাস্তায় আটকে ওই দুষ্কৃতীরা মারধর করে। সুমিতের সঙ্গী দেবাঞ্জনকেও মারধর করা হয়।  
অভিযোগ, এই ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীরাই মারধর করে ওয়ার্ড সভাপতিকে। এই বুবাই আবার পানিহাটির বিধায়ক এবং রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে শোনা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে।  
সোমবার বুবাই মল্লিকের অফিস ভাঙচুর হয়েছে। অভিযোগ, এখন বুবাই মল্লিক বাইরের কোনও তৃণমূল নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে। পানিহাটির বিভিন্ন জায়গায় দৌরাত্ম চালাচ্ছে। 
অভিযোগ, বুবাই মল্লিক এবং পরিতোষ নতুন টোটো নতুন লাইনে চালাতে গেলে চল্লিশ থেকে এক লক্ষ টাকা তোলা নিত। প্রতিদিন ১০ থেকে ৫ টাকা করে তোলা নিত এই বাহিনী। বিশেষভাবে সক্ষম এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। 
সোমবার ভাঙচুরের পর খড়দহ থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী আসে। 
রবিবার ধর্মতলার সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানর্জি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন , ‘‘আমরা চাই মানুষের সামাজিক বন্ধু হতে চাই। নিজে গিয়ে মানুষের দরখাস্ত লিখে দেব। কারোর বিরুদ্ধে যেন দল কোনও অভিযোগ না পায়। আমি চাই দল গরিব থাকুক। আমরা লোভী হতে চাই না। এই কাজ করে গেলে কেউ সরাতে পারবে না।’’
তবে পরের দিনই পানিহাটিতে তৃণমূলের আদি এবং অকৃত্রিম ছবি ধরা পড়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment