Tab Scam Case

ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুই

রাজ্য জেলা

রাজ্যজুড়েই মাথা চাড়া দিয়েছে ট্যাব কেলেঙ্কারি। দুর্নীতির জাল ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে, আরও দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বসিরহাট সাইবার থানা চোপড়া থানার সহযোগিতা নিয়ে বালিয়াডাঙি এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম মহম্মদ ইয়াসিন আলী। ওই যুবক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিত নাকি মুল মাস্টারমাইন্ড তা এখনো জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে বসিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। অন্যদিকে, আসানসোল সাইবার থানা চোপড়া থানার সহযোগিতা নিয়ে দাসপাড়া এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম মেহবুব আলম। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আসানসোলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ট্যাব-কাণ্ডের তদন্তে বসিরহাট ও আসানসোল থানার পুলিশ বুধ ও বৃহস্পতিবার চোপড়ায় যায়। পরে সেখান থেকে তাঁরা যায় লালবাজারের দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। এর পরে চোপড়া পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকাতে অপরাধীদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিনে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের বাড়িতে বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি-সহ বেশ কিছু থানা ও সাইবার অপরাধ দমন শাখার কর্মীরা 'নোটিস' পাঠান। চোপড়া থানা আইসি সুরজ থাপা বলেন, ‘‘বেশ কিছু জেলার পুলিশ এলাকায় এসে তল্লাশি চালাচ্ছে। অভিযুক্তেরা অনেকেই এলাকা ছাড়া। বেশ কিছু থানা থেকে এসে অনেক বাড়িতে নোটিস দিয়ে যায়। পুলিশের তরফে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’ 
স্থানীয়দের দাবি, কয়েক দিনে ট্যাব-কাণ্ডে চোপড়ার প্রায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের বেশ কিছু থানা ও সাইবার অপরাধ দমন শাখার পুলিশ। অনেকেরই দাবি, শুধু ট্যাব- কাণ্ড নয়, এলাকায় অনেক যুবকই রয়েছে, যারা একাধিক অনলাইন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। গত কয়েক বছরে এলাকার অনেক যুবক আর্থিক দিক দিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। অনেকেই দামি বাইক, গাড়িও ব্যবহার করে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।
সিপিআই(এম) উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক জানান, ‘‘চোপড়া দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত হয়েছে। বালি, জমি, চা, গরু মাফিয়ার পর নতুন সংযোজন ট্যাব দুর্নীতি। পুলিশ বেশ কিছুদিন থেকেই অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু মাস্টারমাইন্ড অধরা থেকে গেছে। এতদিন ধরে এই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ কিংবা দুর্নীতি দমন শাখা বা সাইবার ক্রাইম সেল এতদিন বুঝতে পারেনি কেন। আর এই দুর্নীতি হচ্ছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অবশ্যই টের পাচ্ছিলেন কিন্তু তারা এতদিন কিসের ভয় অভিযোগ জানাননি। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে শাসক দলের যোগ রয়েছে। আসলে সবকিছুর নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের হাত। শাসক দলের হাত মাথায় থাকলে এই রাজ্যে সবই সম্ভব। তাই লোক দেখাতে চুনোপুটিরা ধরা পড়লেও রাঘববোয়াল অধরা থেকে গেছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment