পঞ্চায়েত ভোটে সমবায় ব্যাঙ্ক কর্মচারীর ছাপ্পার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল। হাসনাবাদের এই ভিডিও'র সত্যতা যাচাই করেনি ‘গণশক্তি’।
ভিডিও’তে দেখা যাচ্ছে কালো প্যান্ট ও হাফহাতা ঘিয়ে রঙের জামা পড়ে সদলবলে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তিনি আপ্তার উদ্দিন গাজি ওরফে বাচ্চু। দেখা গিয়েছে পাঞ্জাবী পরিহিত পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী আসলাম গাজিকে ছাপ্পা ভোট দিতে।
রাজ্যে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট নেওয়া হয়। রাজ্যজুড়ে ভোট গ্রহণের দিনই ভোট লুটের একের পর এক ঘটনা সামনে আসে। তৃণমূল লুট চালায় বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রেও। বহু জায়গায় প্রতিবাদে নেমে পড়েন বহু মানুষ। তারপরও জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দেওয়া কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে সরব বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট মুর্শিদাবাদের নওদার তিন বিরোধী জয়ী প্রার্থীকে ভোট গঠনের আগে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা সুপারকে। এই তিনজনকে অপহরণের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
আসলাম গাজি হাসনাবাদ ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি। আপ্তার উদ্দিন গাজি হরিপুর এসকেইউএস লিমিটেডের বরুণহাট রামেশ্বরপুর সমবায় ব্যাঙ্কের শাখা ইনচার্জ। তাঁর ভাই নাসিরউদ্দিন গাজি হাসনাবাদ ব্লকের আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭০ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন আপ্তার উদ্দিন গাজি, আসলাম গাজিরা সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে ছাপ্পা ভোট দেয় আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬৮, ২৬৯, ২৭০ নম্বর বুথে। এই অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। তাঁরা পুনর্নিবাচনের দাবি তুলেছিলেন।
ভোট কেন্দ্রে থাকা এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সঞ্জয়দা যখন এসেছে তখন আর কারোর ভোট দেওয়ার দরকার নেই।’ কে এই সঞ্জয়? স্থানীয়রা বলছেন, সম্ভবত বহিরাগত কোনও সমাজবিরোধী। ভোট লুটের জন্য বাইরে থেকে তৃণমূলের পাঠানো বাহিনীর মাথা এই সঞ্জয়, অনুমান গ্রামবাসীদের।
ভোটের প্রায় এক মাস পরও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে ফেলে দেওয়া ব্যালট বাক্স। বেরল ভোট লুটের ভিডিও।
Comments :0