পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় একদিকে ধান চাষে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। অপরদিকে বৃষ্টির অভাবে পাট পচাতে সমস্যায় পড়েছেন কালনা মহাকুমার কৃষকেরা। অনাবৃষ্টি, সারের কালোবাজারি, প্রকৃতির খামখেয়ালি, লাভজনক দাম না পাওয়ার লোকসানের মুখে পাটচাষ করা কৃষকরা। বৃষ্টির খামখেয়ালি, বৃষ্টির অভাবে প্রখর রোদ নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে জল শূন্য হওয়ায় পাটচাষ এখন কৃষকের গলার মরন ফাঁসে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি নিম্নচাপের ঝড় বৃষ্টিতে পাটগাছ খেতেই শুয়ে পড়েছে। ফলে যেখানে এক বিঘা জমির পাট কাটতে ব্যয় হতো ৫ হাজার টাকা, সেখানে দশ হাজার টাকা ১ বিঘা জমিতে পাট কাটার জন্য খরচ করেও ক্ষেতমজুর পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বাংলায় একশো দিনের কাজ বন্ধ, অন্যান্য কাজেরও পরিধি কমে যাওয়া ক্ষেতমজুররা ভিন রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। ফলে পাট চাষের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও পাটের তেমন ভাবে দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। তাই নিশ্চিত লোকসানের মুখে পাট চাষ করা কৃষকরা। জলের অভাবে পাট পচানো নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। পর্যাপ্ত জল পাওয়া না গেলে পাটের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
এই অবস্থায় কৃষকদের বাঁচাতে সারা ভারত কৃষক সভা দাবি তুলেছে পাটের সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টাল ৮৫০০ টাকা দিতে হবে। কারণ যেভাবে প্রাকৃতিক কারণে পাটের উৎপাদন খরচ এতই বেড়েছে যে, সহায়ক মূল্য না বাড়ালে কৃষকরা চরম লোকসানের মধ্যে পড়বেন। কালনা মহাকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা ডঃ পার্থ ঘোষ বলেন, এবছর আবহাওয়া তারতম্যের কারণে পাটচাষে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। অনাবৃষ্টির কারণে জল কিনে পাট চাষ করতে হয়েছে। তার উপরে সম্প্রতিকালের ঝড়ে পাট খেতেই শুয়ে পড়েছে। তাই প্রবলভাবে পাটের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কৃষি দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এই মহকুমার পাঁচ ব্লকে আট হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
Comments :0