TMC Attack

পিংলায় মহিলাদের উপর হামলা তৃণমূলের

রাজ্য

TMC Attack

 

 

বৃহস্পতিবার ঝড় বৃষ্টির সন্ধ্যায় তৃণমূলের বর্বোরোচিত আক্রমণ পিংলায়। সংখ্যালঘু চার মহিলা সহ পার্টির এরিয়া কমিটির সদস্যা রীনা বিবির উপর আক্রমণ। অভিযোগ মহিলাদের শ্লীলতাহানির সঙ্গে মারধর করা হয়। এমনকি ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। আক্রান্তদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তাদের উপরও নৃশংস আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। রড, লাঠি বাটাম উইকেট দিয়ে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। 
আক্রান্তদের পরিবারের অভিযোগ পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে এবং আক্রান্তদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দিয়ে থানা থেকে ফিরিয়ে দেয়।


তাদের আরো  অভিযোগ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। হাত পায়ে হাড়ে চিড়, এখনো মাথায় সেলাই, প্লাস্টার না করে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়। আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেয়। 
এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটিয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেখ সবেরাতি ও তার অনুগামীরা। তৃণমূলের ব্লক নেতা জাকির আলি, স্থানীয় এবং পাশের গ্রামের তৃণমূলের শেখ রফিকুল, চণ্ডী সামন্ত, রাজীব কুইল্যা, দেবাশীষ সাঁতরা, আনিসূল রহমান আরো ২৫ থেকে ৩০ জনের দল এই হামলার সঙ্গে যুক্ত বলে আক্রান্তদের পরিবার জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে পিংলা থানার ক্ষীরাই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার জোড়াবাঁধ গ্রামে।

আক্রান্ত রীনা বিবির স্বামী ওসমান আলি বলেন, ‘‘দুপুরে তার এলাকায় সিপিআই(এম)’র পক্ষ থেকে ২ এপ্রিল পিংলার মুন্ডুমারীতে পার্টির সমাবেশের পোস্টার লাগানো হয়। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় তৃণমূলের বাইক বাহিনী হুমকি দিয়ে গিয়েছিলো দেখে নেওয়ার। হুমকি দেওয়া হয় সেই সভায় যাতে কোনো বুথ থেকে লোক না আসে। সুশান্ত ঘোষ সহ পার্টি নেতৃত্ব যাতে ফাঁকা ময়দান থেকে ফেরত যায়। ওই দিন সন্ধ্যার সময় ঝড় বৃষ্টিতে তিনি রাস্তায় আটকে পড়েন। তারপরই ঝড় বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগ নিয়ে অন্ধকারে পরিকল্পিত আক্রমণ পার্টির এরিয়া কমিটির সদস্য রীনা বিবিকে ঘিরে। ঘরে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে শ্লীলতাহানি করা হয়। মারধর করে মাটিতে ফেলে দিয়ে ফের মারধর করা হয়। খবর পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়তে আসার আগেই আক্রমণ কারীরা পালিয়ে যায়’’।

তিনি আরো বলেন, ‘‘তার বৃদ্ধা মা ও মেয়ে তার স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে তাদের উপরও আক্রমণ করা হয় সেই সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়।  চেঁচামেচিতে প্রতিবেশী মহিলারা ছুটে আসেন। তাদেরও মারধর করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাদেরও মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। হুমকি দিয়ে দুষ্কৃতীরা বলে রীনাকে প্রাণে মেরে ফেল। অন্ধকারে রীনা বিবিকে চিনতে না পারায় প্রাণে বাঁচলেও তাঁর মাথা ফেটে যায় আক্রমণকারীদের মারধরে। পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়। হাত ও পায়ের হাড়ে চিড় রয়েছে। চার মহিলাই রক্তাক্ত আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় ওসমান আলি ও প্রতিবেশীদের বাধা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পিংলা থানার পুলিশ এসে আহতদের ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। কিন্তু শাসক দলের নেতা কর্মীদের হুমকি ফতোয়ায় পরে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।

Comments :0

Login to leave a comment