Joynagar tmc leader murder

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী, বলছে তাদের পরিবারের সদস্যরা

রাজ্য জেলা

জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী। এমনটাই দাবি করছেন ধৃতদের পরিবারের সদস্যরা। সাহাবুদ্দিন এবং শাহারুল দুজনেই তৃণমূল কর্মী। সইফুদ্দিন খুনের পরপরই গনপিটুনিতে মৃত্যু হয় এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিনের। শাহারুলকে হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সইফুদ্দিনের খুনের পর বামনগাছি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে দলুয়াখাঁকি গ্রামের একের পর এক সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের দুস্কৃতি বাহিনী। পুলিশের সামনে এই ধ্বংসলীলা চলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘর ছাড়া বহু মানুষ। মাধ্যমিক পড়ুয়া আলিমা খাতুন। বই সব পুড়ে গিয়েছে তার। অসহায় অবস্থায় খোলা আকাশের তলায় বাস করতে হচ্ছে ওই গ্রামের মানুষদের।

যেই গ্রামের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তারা নির্দোষ। অভিযুক্তরা সিপিআই(এম) করে না এবং তারা দলুয়াখাঁকি গ্রামের বাসিন্দাও নয়। তাহলে কেন এই গ্রামের ওপর হামলা হলো প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ বলছে না, সেরাম কিছু হয়নি।

উল্লেখ্য ঘটনার পর সিপিআই(এম)কে দায়ি করেছিল মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার কিন্তু অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের বয়ান মঙ্গলবার বুঝিয়ে দিচ্ছে জয়নগরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য খুন হয়েছে সইফুদ্দিন। 

সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুনোখুনি। কয়েক বছর আগে জয়নগরের বিধায়ককে খুন করতে গিয়ছিল তৃণমূলেরই একটা অংশ। রাজ্য জুড়ে এই চলছে। লুঠের টাকার বখরা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট করছে তৃণমূল, একে অপরকে খুন করছে। আর নিজেদের দোষ ঢাকতে সিপিআই(এম) এর দিকে আঙুল তুলছে।’’

মঙ্গলবার দলুয়াখাঁকি গ্রামের আক্রান্তদের সাথে দেখা করতে গিয়েছে সিপিআই(এম) এর একটি প্রতিনিধি দল। রয়েছেন শমীক লাহিড়ী, সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি, রাহুল ঘোষ, রতন বাগচী সহ নেতৃত্ব।

পুলিশ সূত্রে দাবি সইফুদ্দিনকে খুন করতে ভারাটে খুনি আনা হয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে খুনের জন্য এক লক্ষ টাকা সুপারিও দেওয়া হয়। তবে কে বা কারা দিয়েছে সেই বিষয় কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। গোটা ঘটনায় এখনও নীরব জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

Comments :0

Login to leave a comment