Hooghly

পুলিশের জালে হুগলীর ব্যাটারি গ্যাং

জেলা

থানায় তেরোটি অভিযোগ, পুলিশের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ব্যাটারী গ্যাং। ব্যাটারী চোর ধরতে থানায় থানায় বিশেষ টিম গঠন। অবশেষে সাফল্য। প্রায় পনেরো লাখ টাকার ব্যাটারী ও সরঞ্জাম আটক করল হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। বুধবার গুড়াপ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ডিএন্ডটি প্রিয়ব্রত বক্সি। ডিএসপি জানান, ‘‘গত বেশ কিছুদিন ধরে হুগলী ও পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি থানা এলাকায় মোবাইল ফোনের টাওয়ারের ব্যাটারী চুরির অভিযোগ হচ্ছিল। যা নিয়ে পুলিশ উদ্বিগ্ন ছিল। এত চুরি হচ্ছে কি করে?’’ 
হুগলী গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নির্দেশে ব্যাটারী গ্যাং ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শুরু হয় চোর খোঁজার কাজ। প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, গুরাপ থানায় তিনটি, দাদপুর থানায় দুটি, পোলবা ধনেখালি পান্ডুয়া বলাগড় হরিপাল এবং পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর মেমারী থানায় একটি করে অভিযোগ দায়ের হয়। প্রথমে তদন্তকারীরা সিসিটিভি দেখে কিভাবে চুরি হয়েছে। কোন রাস্তা দিয়ে গেছে তা দেখে চোর শনাক্ত করার চেষ্টা করে। ওই এলাকায় কোন মোবাইল বেজেছিল তার তথ্য নেওয়া হয় স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ থেকে। কয়েকদিন আগে গুরাপ থানার ওসি বাপি হালদারের নেতৃত্বে একটি গাড়ি ও তার ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করে। সেই ড্রাইভারের সূত্র ধরে প্রচুর ব্যাটারী যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে। মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে দুজন টেকনিশিয়ান জড়িত। যারা বেসরকারি সংস্থার টাওয়ার গুলির কাজ করতো। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে পরিমাণ ব্যাটারি চুরি হয়েছিল তার বাজার মূল্য ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি। গুরাপ থানা অধিকাংশই প্রায় উদ্ধার করতে পেরেছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ধৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি তারকেশ্বর একজনের বাড়ি ঝারগ্রাম একজনের বাড়ি পান্ডুয়া। তদন্তে জানা গেছে,অভিযুক্তরা তারকেশ্বর থেকে গোটা বিষয়টাকে অপারেট করত।

Comments :0

Login to leave a comment