’’প্রধানমন্ত্রী আর আদানি আলাদা নন, দু’জনে আসলে এক। নিজের বিরুদ্ধে কেউ তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন? সে কারণেই আদানির বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না।’’
শুক্রবার সংসদভবন চত্বরে প্রতিবাদের মাঝে সংবাদমাধ্যমে এই মন্তব্য করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
৩ ডিসেম্বরও সংসদে আদানির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধীরা। সংসদে ‘আদানি’ শব্দটি উচ্চারণ করলেও সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আদানি’ শব্দ কী অসংসদীয়?
এদিন সংঘাতের আবহেই হয়েছে প্রতিবাদ মিছিল। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলগুলির সাংসদরা অংশ নিয়েছেন মিছিলে।
বিরোধী সাংসদরা কালো জ্যাকেট পরে হেঁটেছেন মিছিলে। লেখা ছিল, ‘মোদী-আদানি এক হ্যায়, সেফ হ্যায়’।
সম্প্রতি আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার আদালতে শুরু হয়েছে মামলা। যদিও অভিযোগ সমানে অস্বীকার করে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। আমেরিকার বিনিয়োগকারী সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সেদেশের বিচারবিভাগ মামলা দায়ের করেছে। বলা হয়েছে, নিজের সৌর বিদ্যুৎ সংস্থার বিদ্যুৎ চড়া দামে কিনতে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিয়েছিলেন আদানি।
বিরোধী সাংসদদের বক্তব্য হলো, বিদেশে বিভিন্ন সংস্থা অভিযোগ তুলছে এখন। বহু আগে থেকে দেশের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দেখানো হয় বিদেশ থেকে নিজেদেরই টাকা ঘুরিয়ে এনে বিদেশি বিনিয়োগ বলে দেখিয়ে শেয়ারের দাম ফাঁপিয়ে বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। অথচ, দেশের ভেতর তদন্ত হচ্ছে না।
সংসদের চলতি অধিবেশনেও আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবি তুলছেন বিরোধীরা। এর আগে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট ঘিরেও এই দাবি উঠেছিল। স্বচ্ছতার স্লোগান তুললেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে দাবি মানেননি।
বিরোধী সাংসদরা বলেছেন, আদানির বিরুদ্ধে কথা বললেও সংসদে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে। মোদীই যে বেনিয়ম আড়াল করছেন, তা নিয়ে সামান্য সন্দেহেরও সুযোগ নেই।
ADANI Parliament Protest
‘নিজের বিরুদ্ধে কেউ তদন্ত করায়!’: সংসদভবনে আদানি-বিক্ষোভে রাহুল
×
Comments :0