নতুন কৃষি বিপণন নীতির খসড়া করেছে কেন্দ্র। সর্বত্র কর্পোরেটের হাতে কৃষি তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত। সরবে এই মর্মে প্রতিবাদ জানিয়ে খসড়া বাতিল করলেন কৃষকরা। ১৩ জানুয়ারি দেশের সর্বত্র এই খসড়া নীতির প্রতিলিপি পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করল সংযুক্ত কিসান মোর্চা।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের মোগায় মোর্চার ডাকে মহাপঞ্চায়েতে কৃষকের ঢল নামে। সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকরা ট্রাক্টর মার্চ করবেন এবারও।
কী বলছে কেন্দ্রের জাতীয় কৃষি বিপণন নীতির খসড়া। বলা হচ্ছে কৃষি ব্যবসায়ী, কর্পোরেট দেশের সর্বত্র একটিই লাইসেন্সে ব্যবসা করতে পারবে। যে কোনও জায়গায় কৃষকের থেকে সরাসরি ফসল কিনতে পারবে।
সারা ভারত কৃষক সভার সহ সভাপতি এবং দেশের কৃষকনেতা হান্না মোল্লা বলেছেন, তিন কৃষি আইন বাতিল করতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। তীব্র আন্োলনের চাপে পিছাতে হয়েছিল। নতুন খসড়া এনে সেই লক্ষ্যেই যেতে চাইছে কেন্দ্র। সংসদে আলোচনা না করেই চালু হতে পারে এই নীতি। তিন কৃষি আইনের থেকেও বিপজ্জনক এই জাতীয় কৃষি বিপণন নীতির প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। তার জন্য আরও বড় আন্দোলন গড়তে হবে কৃষকদের।’’
এদিন মোগায় মহাপঞ্চায়েতে এই মর্মেই হয়েছে ঘোষণা। ৬ সদস্যের ঐক্য কমিটি গড়া হয়েছে। তার পক্ষে যোগিন্দর সিং উগ্রাহন সংগ্রামের প্রস্তাব পেশ করেছেন মহাপঞ্চায়েতে। দু’হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছেন কৃষকরা। কমিটিতে রয়েছেন সারা ভারত কৃষকসভার নেতা পি কৃষ্ণপ্রসাদ, বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত, দর্শন পালের মতো কৃষকনেতারা।
শুক্রবারই এই কমিটির সদস্যরা যাবেন হরিয়ানার শম্ভু ও খনৌরি সীমান্তে। যেখানে অবস্থানে রয়েছে কৃষকদেরই অন্য অংশ। তাঁদের সঙ্গে একজোটে আন্দোলনের আলোচনা হবে। ১৫ জানুয়ারি হতে পারে বৈঠক।
অনশনরত কৃষকনেতা জগজিত সিং দালেওয়ালের পক্ষেও সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহাপঞ্চায়েত।
কৃষকনেতারা বলেছেন, খসড়া বিপণন নীতির আরেক লক্ষ্য হলো কৃষকের জন্য সংরক্ষিত বাজারের এপিএমসি আইনকে কার্যত ঠুঁটো করে দেওয়া। কৃষকের লাভ হয় এমন ন্যূনতম দামের আইন নেই। সংসদীয় কমিটি যে প্রস্তাব দিচ্ছে তাতে কৃষকের লাভ হবে না। অথচ ন্যূনতম দাম বা এমএসপি আইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদী সরকার। আন্দোলনে উঠবে সেই আইনের দাবিও।
SKM Agri Marketing Policy
১৩ জানুয়ারি দেশজুড়ে কেন্দ্রের খসড়া পোড়াবেন কৃষকরা
×
Comments :0