শম্ভু চরণ নাথ- আলিপুরদুয়ার
পর্যটকদের জন্য সুখবর। খুলে যাচ্ছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বন্যপ্রাণীর প্রজননের মরসুম ও বর্ষার তিন মাস পার করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের অন্যান্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সঙ্গে খুলে যাচ্ছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান।
জঙ্গল ভ্রমণে আগ্রহী পর্যটকদের জন্য পাশাপাশি সুখবর পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এই মরসুম থেকেই খুলে দেওয়া হচ্ছে জলদাপাড়ার দ্বিতীয় গেট। এবার আলিপুরদুয়ার জেলার শালকুমারহাট দিয়েও জলদাপাড়ায় ঢুকতে পারবেন পর্যটকরা। এত দিন ধরে শুধুমাত্র মাদারিহাটের মূল গেট দিয়েই পর্যটকরা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ঢুকতে পারতেন। ফলে ভিড় লেগেই থাকতো মাদারিহাটের মূল গেটে। এ বার খুলে দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় গেটও।
শালকুমারহাটের এই গেটেও হাতি ও জিপসি সাফারির পরিষেবা মিলবে। তবে মূল গেট দিয়ে প্রবেশের জন্য অনলাইন বুকিং চালু থাকলেও, আপাতত দ্বিতীয় গেট দিয়ে ঢুকতে হলে অফলাইনেই বুকিং করতে হবে। পরে দ্বিতীয় গেটকেও অনলাইন বুকিংয়ের আওতায় আনা হবে। ১৩২ কিলোমিটার সাফারি রুট, হাতি সাফারির সংখ্যা ৫ থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৮। তবুও মন খারাপ থাকবেই। কারণ হলং বনবাংলোতে থাকার সুবিধা পাবেন না পর্যটকরা। পুড়ে যাওয়া হলং বন বাংলো পর্যটকদের জন্য এখনো তৈরি করতে পারে নি রাজ্য বন দপ্তর। তবে এই মনখারাপের মধ্যেও জলদাপাড়া পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভিন কাশোয়ান বলেন, ‘‘জলদাপাড়াকে নতুনভাবে সাজাচ্ছি। জলদাপাড়ার গেটটিকে আমরা রঙিন করে সাজিয়ে তুলছি। সকালেই সাফারি এবং পর্যটকরা হাতির পিঠে করে জঙ্গলে ঢুকতে পারেন। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে হাতির সংখ্যা ৫ থেকে সংখ্যা বাড়িয়ে ৮ করা হচ্ছে। একেকটি হাতিতে চার জন করে পর্যটক উঠতে পারেন। অনলাইন ও স্পট দুই ভাবেই হাতি সাফারির বুকিং করা যায়। শুধু হাতি সাফারি নয়, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে জিপসি সাফারির ব্যবস্থাও রয়েছে। এক একটি সাফারিতে ছয় জন পর্যটক উঠতে পারেন।’’
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে চারটি রুটে জিপসি সাফারি হয়। সবটা মিলিয়ে পর্যটকরা আবারো জলদাপাড়া এসে জঙ্গলের সৌন্দর্য পাশাপাশি অন্যান্য পরিসেবার সুবিধা পাবেন।
Comments :0