Junior Doctor Aniket Mahato

শারীরিক অবস্থার অবনতি, আইসিইউ'তে অনিকেত

রাজ্য

শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে গ্রিন করিডর করে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিসিইউ'তে তাঁর চিকিৎসা চলছে। 

অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য চার চিকিৎসকের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। সেই দলে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিনের বিভাগের চিকিৎসক নীলাদ্রি সরকার। নিউরো মেডিসিনের ডক্টর অতনু বিশ্বাস, জেনারেল সার্জারির ডিকে সরকার এবং কার্ডিয়োলজি বিভাগের চিকিৎসক গৌরাঙ্গ সরকার। 

তারাই বৃহস্পতিবার রাতে অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তারাই জানিয়েছেন অনিকেতের শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক। চিকিৎসকরা অনিকেতের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন রক্ত পরীক্ষা সহ একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে অনিকেতের। এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। গত শনিবার ধর্মতলায় অনশন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথমে ৬ জন অনশন শুরু করেন। পরে আর একজন জুনিয়র চিকিৎসক তাতে যোগ দেন। যে জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে বসেছেন, তাঁরা হলেন ডাঃ স্নিগ্ধা হাজরা, ডাঃ তনয়া পাঁজা, ডাঃ সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, ডাঃ পুলস্ত্য আচার্য, ডাঃ অনুষ্টুপ মুখার্জি, ডাঃ অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং ডাঃ অনিকেত মাহাতো। 

গত ৯ আগস্ট থেকে প্রতিবাদের এক অনন্য নজির গড়েছেন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা। ধাপে ধাপে বেড়েছে আন্দোলনের মাত্রা। প্রতিদিন সেই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘উৎসব‘-এর মধ্যে ন্যায়ের দাবিতে তীব্র লড়াইয়ে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলায় তাঁদের অনশন ছয় দিন পার করে পড়েছে সপ্তম দিনে। ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার ও ৪ জন সিনিয়র ডাক্তার সেখানে আমরণ অনশনে মরিয়া রয়েছেন। আরজি কর হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা চলছে অনিকেতের।

জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। রয়েছেন নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক কানাইলাল কর্মকার, মেডিসিন বিভাগের সুদীপ্ত ব্যানার্জি, হৃদ্‌‌রোগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বদীপ মজুমদার, আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউ ইন-চার্জ, অ্যানাসথেসিয়া বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোমা মুখার্জি এবং চিকিৎসক সুজয়কুমার রায়। ডাক্তার সোমা মুখার্জি বলেন," অনিকেতের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। শরীরে জলশূন্যতা ছিল। তাঁর মূত্রে ‘কিটোন বডি’ পাওয়া গিয়েছে। আগামী তিন-চার দিন চিকিৎসাধীনই থাকবেন অনিকেত। সুস্থ হয়ে উঠলেও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে। এদিকে দাবি আদায়ে এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ছয়জন জুনিয়র চিকিৎসক। অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তবুও এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্বিকার।

Comments :0

Login to leave a comment