Kolkata Municipal Corporation

সরকারি ফতোয়াকে অমান্য করেই ধর্মঘটে কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মীরা

রাজ্য কলকাতা

শুক্রবার ডিএ’র দাবিতে কর্মচারীদের স্বতস্ফূর্ত ধর্মঘট দেখল কলকাতা কর্পোরেশন। এদিন কলকাতা কর্পোরেশনের মূল দপ্তরের সমস্ত বিভাগেই কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করেন। অধিকাংশ দপ্তরে একশো শতাংশ কর্মচারীই ধর্মঘটে সামিল হন। ধর্মঘট ভাঙতে রাজ্য সরকারের তরফে সার্ভিস ব্রেক এবং ডায়াস নানের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই হুমকি অগ্রাহ্য করেই নিজেদের ডিএ’র দাবিতে অনড় রইলেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। 


এদিন ধর্মঘটে শ্রমিক কর্মচারীদের পাশাপাশি ক্লার্ক এবং ইঞ্জিনিয়াররাও সামিল হন। এদিন কলকাতা কর্পোরেশনের গ্যারেজ, অ্যশফল্ট প্ল্যান্ট, বরো অফিস, ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর, বিল্ডিং দপ্তর সহ একের পর এক বিভাগে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট ভাঙতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম একাধিক বার কর্মচারীদের হুমকি দিয়েছিলেন। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তোলার চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু এদিন তাঁর বরো বলে পরিচিত ৯ নম্বর বরোতেও ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কলকাতা কর্পোরেশনের ১৬টি বরোতেই ধর্মঘটের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বলে কর্মচারী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের দাবি। 
কর্মচারী নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, শ্রমিক কর্মচারীরা ‘এমারজেন্সি’ সার্ভিসকে ধর্মঘটের আওতার বাইরে রেখেছেন। তারফলে অন্য সমস্ত বিভাগে কাজ বন্ধ থাকলেও জঞ্জাল নিষ্কাশন, শ্মশান, বিদ্যুৎ এবং আলোক বিভাগ অন্যান্য দিনের মতোই সচল ছিল। 


এদিন কলকাতা কর্পোরেশনের মূল ভবনের চারটি গেটেই পিকেটিং এবং স্লোগান শাউটিং করেন কর্মচারীরা। সকাল দশটা থেকে কেএমসি জয়েন্ট ফোরামের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বেলা ১টা নাগাদ কর্পোরেশনের প্রধান ফটক বা মেয়র্‌স গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিন বিক্ষোভ সভায় কেএমসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তরফে অনুতোষ সরকার, কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়নের তরফে অমিতাভ ভট্টাচার্য, কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মানস সিনহা, রতন ভট্টাচার্য প্রমুখ কর্মচারী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও আইএনটিইউসি এবং এআইটিইউসি’র প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। জয়েন্ট ফোরাম নেতৃবৃন্দ একযোগে ধর্মঘট সফল করার জন্য কর্মচারীদের অভিনন্দন জানান।

Comments :0

Login to leave a comment