কুলতলির সেই কুন্দখালি অঞ্চলে এবারে এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাদল হালদারের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। কুলতলি থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে নির্যাতিতার পরিবার থানায় অভিযোগ করায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রহ্লাদ নস্কর তাঁদেরকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি তিনি তাঁদেরকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মুখ বন্ধ রাখার টোপ দেয়। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। ওই তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সদস্য উমা নস্করে স্বামী। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতার ভূমিকা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যদিও ওই তৃণমূল নেতা নির্যাতিতার পরিবারকে এরকম কিছু বলেননি বলে অস্বীকার করেছেন।
কুলতলিতে মুক ও বধির মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় ধৃতর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কান্তি গাঙ্গুলি ধৃতর কঠোর শাস্তিরদাবি করে বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াবে প্রতিবন্ধী সম্মিলনী। শুক্রবার সম্মিলনীর এক প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুক ও বধির নির্যাতিতা ওই মহিলা তাঁর বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। পরে বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে নির্যাতিতাকে আপত্তিকর অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের লোকজন। চীৎকার চেঁচামেচি হওয়ায় স্থানীয় মানুষেরাও ঘটনাস্থলে আসেন। অভিযুক্ত বাদল হালদারকে ধরে গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাঁরা জানান, বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করার সময় ৪০ বছর বয়সী নির্যাতিতা ওই মহিলাকে রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত বাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আপত্তিকর অবস্থায় সে ধরা পড়েছে।
এই ঘটনায় সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদিকা মোনালিসা সিনহার অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
kultali Rape
প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ কুলতলিতে
×
Comments :0