পুলিশের গুলি চালনার প্রতিবাদে বামফ্রন্টের ডাকা বন্ধের জেরে মালদহের মানিকচকে বন্ধ দোকান। শুনশান রাস্তা ঘাট। দুই একটা গাড়ি দেখা গেলেও তাতে কোন যাত্রী নেই। সিপিআই(এম) নেতৃত্বের কথায় বিদ্যুৎ এর দাবিতে সাধারণ মানুষের ওপর যে ভাবে গুলি চালানো হয়েছে তার প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি। সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিকে গ্রহন করেছে বলে দাবি নেতৃত্বের।
রাতে বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টানা লোডশেডিং। একদিনের ঘটনা নয়, গত দু’মাস ধরে একই ছবি। কৃষিকাজ থেকে শুরু করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা— সব প্রায় বন্ধ। অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরাও। আর তার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতেই মমতা ব্যানার্জির পুলিশের গুলির মুখে পড়তে হলো মানিকচকের এনায়েতপুরের নিরীহ, নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে— স্রেফ একটি দাবি তোলার ‘অপরাধে’ই পুলিশের গুলির মুখে গ্রামবাসীরা। শয়ে শয়ে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের দিকে তাক করে নির্বিচারে গুলি চালালো পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হলেন তিনজন। জখমদের বয়স ২৫ থেকে ৩০’র মধ্যে। যদিও খোদ মন্ত্রী থেকে জেলা পুলিশ সুপার নির্বিকারভাবে অস্বীকার করেছেন গুলি চালানোর ঘটনা! তবে রাতে জেলা পুলিশ সুপার স্বীকার করতে বাধ্য হন গুলিচালনার ঘটনা। আত্মরক্ষার্থেই বলে তিনি দাবি করেছেন।
শুধু তাই নয়, মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকেই গুলিবিদ্ধ যুবকের দিদিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মানিকচকের এনায়েতপুরে পুলিশের গুলিতে জখম যুবক আনোয়ারুল নাদাবেকে মিল্কি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে গুলি শরীর থেকে বের করার পরে বিপুল রক্তক্ষরণের জন্য মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সেখানে হাজির ছিলেন তাঁর দিদি। সেই সময়ে পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত ছয়জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চলছে গ্রামে গ্রামে পুলিশি হানা— মানিকচকের একের পর এক গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে বামফ্রন্টের তরফে শুক্রবার মানিকচক ব্লক এলাকায় ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের তরফেও বন্ধে সমর্থন জানানো হয়েছে।
Manikchak bandh
বামফ্রন্টের ডাকা বন্ধের জেরে স্তব্ধ মানিকচক
×
Comments :0