Tab Scam

ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ৩

রাজ্য জেলা

ধৃত জাহাঙ্গীর আলম।

ট্যাব কেলেঙ্কারিতে একে একে সামনে আসছে আরও অনেক চক্রের হদিশ। কেলেঙ্কারির জাল ক্রমশ আরও বিস্তৃত হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। ট্যাব দুর্নীতিতে যুক্ত আরও তিন জনকে চোপড়া থানা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ট্যাব কাণ্ডের ধৃত ফারুক আজম বাড়ি চোপড়া সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। এলাকার শাসক দলের একনিষ্ঠ কর্মী। এক মাস আগে দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম গুলজার আলী, চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধন্দেগছ গ্রামে বাড়ি। পেশায় অবস্থাপন্ন কৃষিকাজ। তৃণমূলের কর্মকর্তা। এদের দুজনেই অ্যাকাউন্ট ১০ হাজার টাকা এসেছে। গ্রেপ্তার করেছে হুগলি জেলা পুলিশ।  
ট্যাব দুর্নীতি কান্ডে চোপড়া থেকে জাহাঙ্গীর আলম নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে রানাঘাট পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানা। চোপড়া ব্লকের ঘিরনীগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দ গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ চাকদহ, হরিণঘাটা ও ধানতলা এলাকার প্রায় ছটি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এই চক্রের সাথে যুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে চোপড়ার দাসপাড়া থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃতকে কল্যাণীতে নিয়ে এসে শনিবার আদালতে পেশ করা হবে। এখন অবধি রানাঘাট পুলিশ জেলায় সাইবার ক্রাইম সেল এর কাছে যে বিভিন্ন স্কুলগুলো অভিযোগ করেছিল তাতে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্যাব কান্ডের সঙ্গে পুলিশ আরো চারজনকে চিহ্নিত করেছে। ট্যাবের টাকা জালিয়াতির অভিযোগে এলাকায় লাগাতার অভিযান চলছে। সব মিলিয়ে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে চোপড়া ব্লক থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিভিন্ন থানার পুলিশ। শুক্রবার পর্যন্ত শুধু চোপড়া থানা এলাকায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ জন। হুগলি ও রানাঘাট থানার পুলিশ চোপড়া থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের শুক্রবার ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ইসলামপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment