বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাখানের পর প্রথম মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। মঙ্গলবারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন যে, সব কিছু ধীরে ধীরে হবে। বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি প্রথম থেকে তুলে এসেছে কংগ্রেস এবং আরজেডি। রাজ্যসভার আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝাঁ সোমবার সংসদে এই বিষয় তোলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন সরকার দাবি না মানলে আন্দোলন হবে। সদস্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিহারে বিজেপি এবং জেডিইউ জোটকে বেশ বেগ দিয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের জোট।
২০১৫ সালে নীতিশ যখন বিজেপির সাথে জোট করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা যায় বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্জাদা দেওয়ার কথা। তারপর থেকে গত ন’বছরে আর শোনা যায়নি এই কথা। লোকসভা নির্বাচনের আগে নীতিশ এনডিএ শিবিরে যোগ দিলে নির্বাচনী প্রচারে উঠে আসে ফের এই প্রসঙ্গ। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বার বার প্রশ্ন তোলা হয় কেন বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। চাপের মুখে এনডিএ শিবির জানায় এই বিষয় তারা বিবেচনা করবে। লোকসভা নির্বাচনের পর জেডিইউ’র বৈঠকেও বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আগামী বছর বিহারের বিধানসভা নির্বাচন তার আগে বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা না দেওয়ায় মাঠে নেমেছেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যেই বাজেট পেশ করেছেন তাতে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ঘোষনা করা হয়েছে। বিহারের নীতিশ এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছে বিজেপি। দুই শরিককে তুষ্ট করতে বিশেষ প্যাকেজের ঘোষনা করা হয়েছে বাজেটে। চন্দ্রবাবু খুশি হলেও গদগদ ভাবে এই বিশেষ প্যাকেজকে স্বাগত জানাতে দেখা যায়নি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে।
Comments :0