Ajit Pawar

আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়নি, জানালো অজিত পাওয়ার

জাতীয়

লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি এবং শিন্ডে নেতৃত্বাধিন শিব সেনার সাথে কোন আলোচনা শুরু হয়নি বলে দাবি করলেন অজিত পাওয়ার।
দীর্ঘ কয়েকদিন অজিতকে প্রকাশ্যে না দেখতে পাওয়ায় বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল মারাঠা ভূমিতে। একপক্ষের দাবি ছিল যে অজিত অমিত শাহের সাথে দেখতে করতে গিয়েছেন নিজের ক্ষোভ জানানোর জন্য। যদিও অজিতের দাবি সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে আসেননি। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছন যে, ‘‘১৫ দিন আমি বাইরে আসতে পারিনি কারণ আমি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলাম। দিল্লিতেও যাইনি আমি।’’
তিনি সাফ জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুই শরিকের সাথে তার কোন আলোচনা হয়নি। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর আলোচনায় তারা বসতে পারেন বলে তার ইঙ্গিত।
উল্লেখ্য ২০১৯ এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, শিব সেনা এবং এনসিপি জোট মহা বিকাশ অঘদি জয়ী হয়। জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব থ্যাকারে। কিন্তু দুবছর যেতে না যেতে শিব সেনা ভাঙায় বিজেপি। একনাথ শিন্ডে সহ একাধিক বিধায়ক বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়। শিন্ডে হয় মুখ্যমন্ত্রী।
একই ভাবে চলতি বছরের মাঝামাঝি এনসিপি ছাড়েন অজিত। সাথে প্রফুল্ল পটেল সহ একাধিক বিধায়ক এবং নেতা। একনাথ শিন্ডের মতো বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে শিন্ডে এবং বিজেপি সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শিব সেনা এবং এনসিপির অপর দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনের কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। দুই পক্ষের তরফ থেকেই দলীয় প্রতীক এবং নামে অধিকার চাওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন এই বিষয় কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে আগামী বছর লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের সময় মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন আসনে শিব সেনার দুই গোষ্ঠী এবং এনসিপি দুই গোষ্ঠীর প্রার্থীরা যখন ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন তখন তাদের নির্বাচনী প্রতীক কি হবে। অনেকে মনে করছেন সেই ক্ষেত্রে কমিশন দুই পক্ষের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক দিতে পারে। কিন্তু দল, দলের নাম তো আর আলাদা আলাদা হবে না। কারণ উদ্ধব যেমন নিজেদের ‘আসল শিব সেনা’ বলে দাবি করেন তেমনই শরদ পাওয়ারও নিজেদের ‘আসল এনসিপি’ বলে দাবি করেন।

Comments :0

Login to leave a comment