শাহ বলেছেন, তপশিলি জাতি এবং উপ-জাতিদের জন্য যেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তাতে একমত ছিলেন না আম্বেদকার। ঐক্যমত না হওয়ার কারণে নেহেরু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
শাহকে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, ‘‘যারা মনুস্মৃতিকে মান্যতা দেয় তাদের কাছে আম্বেদকার বিপদ হবেই।’’ উল্লেখ্য মনুস্মৃতিতে পিছিয়ে পড়া জাতি এবং উপ-জাতির মানুষদের প্রতি বৈষম্যের কথা বলা আছে। স্বাধীন ভারতে এই ধরনের কোন ভাব ধারা যাতে না থাকে তার জন্য সংবিধানের মাধ্যমে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন সংবিধান প্রনেতারা। যাদের মধ্যে অন্যতম বি আর আম্বেদকার।
উল্লেখ্য শাহকে আড়াল করতে মাঠে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এক্সহ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেস যদি ভেবে থাকে যে তাদের এই মিথ্যা প্রচার তাদের অন্যায় এবং আম্বেদকারের প্রতি অশ্রদ্ধা ঢাকা দেবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে। গোটা দেশ দেখেছে কি ভাবে একটি দল একটি পরিবার দেশের তপশিলি জাতি এবং উপ-জাতিদের কোনঠাসা করে রেখেছিল।’’
খাড়গের কথায় আম্বেদকার আরএসএসের মতো উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের বিরোধীতা করায় এখনও তাদের মনে আম্বেদকারের প্রতি ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তারই প্রতিফলন।
পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে কিরেন রিজিজু দাবি করেছেন যে, কংগ্রেস শাহের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে। তার দাবি শাহ বলতে চেয়েছেন কংগ্রেস মুখে আম্বেদকারের নাম নিলেও তার যেই ভাব ধারা তার প্রতি কখনও কোন শ্রদ্ধা দেখায়নি।
Comments :0