সকলের হাতে কাজের দাবিতে, বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে ডিওয়াইএফআই’র ডাকে শুক্রবার দুপুর বিপুল জনস্রোতই শুরু হয় উত্তরকন্যা অভিযান। হাতে পতাকা ফেস্টুন নিয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে যৌবনের দূতেরা। বেলা দেড়টা নাগাদ সেই স্রোত আছড়ে পড়ল শিলিগুড়ির রাস্তায়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবরা প্রতিরোধ প্রতিবাদের বার্তা দিতে জমায়েত করেছেন শিলিগুড়িতে, লক্ষ্য উত্তরকন্যা অভিযান। মিছিল এগিয়ে চলে দুর্বার মেজাজে। উত্তরকন্যা যাওয়ার রাস্তার পুরোটাই দখল নিয়েছিল মিছিল। এদিন রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি গাড়ি আটে দেয় পুলিশ। যুবকর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই মিছিল যোগ দেন। উত্তরকন্যা অভিমুখের মিছিল বর্ধমান রোড ধরে নৌকাঘাট পেরিয়ে তিনবাত্তি মোড়ে এসে পড়তেই যুবদের আটকাতে লোহার ব্যারিকেড গড়ে তোলে পুলিশ। মূল ব্যারিকেড পর্যন্ত পৌঁছাতে দেয়নি তারা মিছিলকে। যুব নেতৃন্ব উত্তরকন্যার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে যুব নেতারা। ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব বলেন উত্তরকন্যায় যেতে দেওয়া না হলে এখানেই অবস্থান বিক্ষোভ হবে।
তারপরেই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ হয়। চলেছে জলকামানও। পুলিশ আটক করেছে মীনাক্ষী মুখার্জি সহ যুব নেতৃত্বকে। দফায় দফায় লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্ররোচনা আগে থেকেই ছিল। পুলিশের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে উত্তরকন্যার রাজপথ। যুবদের অভিযোগ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর বিনাপ্ররোচনাতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। এই কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত অনুযায়ী হয়েছে। তবুও বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ এই প্রশ্ন তুলেছেন যুবনেতৃবৃন্দ।
Comments :0