পণ্য ও পরিষেবা কর ফাঁকির অভিযোগে জেলেই ছিলেন সাংবাদিক। তার মধ্যেই মহেশ লাঙ্গার বিরুদ্ধে সরকারি গোপন নথি হাতানোর অভিযোগ দায়ের করল গুজরাট পুলিশ।
সাংবাদিককে হেনস্তার প্রতিবাদে গুজরাট তো বটেই, সোচ্চার দেশের বিভিন্ন অংশ। পরিস্থিতি সামলাতে আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিকের দাবি, বিষয়টিতে কাউকে ফাঁসানোর বিন্দুমাত্র মতলব নেই। ‘পেশাগত তদন্ত’ করা হচ্ছে। কমিশনারের মন্তব্যে যদিও অখুশি বড় অংশই।
গুজরাট পুলিশের এমন তৎপরতায় ক্ষোভ জানিয়েছে ‘এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া’। সম্পাদকদের অন্যতম শীর্ষ মঞ্চ বলেছে, ‘‘সরকারি নথি পাওয়ার অপরাধে কোনও সাংবাদিককে যদি জেলে থাকতে হয় তবে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের খবরের জন্যই বিভিন্ন সময় গোপন সরকারি নথি রাখতে হয়।’’
গুজরাট পুলিশ মঙ্গলবার বলেছে, গুজরাট মেরিটাইম বোর্ডের বিভিন্ন নথি সাংবাদিকের থেকে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কোনও প্রতিবেদন এই বিষয়ে তিনি লেখেননি। মালিক বলেছেন, ‘‘লাঙ্গা তাঁর যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক সমঝোতা পাকা করার ব্যবস্থা করতেন। তিনি জমির দালালিও করতেন। আমরা আরও একটি এফআইআর দায়ের করছি কারণ এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে লাঙ্গা তাঁর সঙ্গে ২৮ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছেন।’’
পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি প্রতারণার অভিযোগে মহেশ লাঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ, একটি সংস্থার জিএসটি প্রতারণায় জড়িত একটি ইংরেজি দৈনিকের এই সাংবাদিক।
পুলিশের যুক্তি, ফাঁসানোর মতলব থাকলে সাংবাদিকের স্ত্রী এবং আরেক আত্মীয়কেও গ্রেপ্তার করা হতো। কারণ অংশীদার হিসেবে তাঁদের নাম রয়েছে ওই সংস্থায়।কিন্তু কেবল লাঙ্গাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লাঙ্গার বিচারবিভাগীয় হেপাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দায়ের হয়েছে নতুন অভিযোগ। তা ওই গোপন সরকারি নথি নিজের কাছে রাখার।
এডিটরস গিল্ড বলেছে, ‘‘আমরা আশা করব স্বচ্ছ এবং ন্যয়সঙ্গত বিচারপ্রক্রিয়া থেকে লাঙ্গাকে বঞ্চিত করা হবে না। গোপন নথি সংক্রান্ত অভিযোগ বিশদে জানানো উচিত গুজরাট পুলিশের।’’
GUJARAT POLICE JOURNALIST
সাংবাদিকের নামে ‘গোপন নথি’ রাখার অভিযোগ গুজরাট পুলিশের, প্রতিবাদ
×
Comments :0