যুব নেতা কলতান দাসগুপ্তকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই,সারা ভারত গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতি শ্যামনগর আঞ্চলিক কমিটি ও ভাটপাড়া -জগদ্দল আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে জগদ্দল থানা ঘেরাও করা হয়। এই থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জী, সারা ভারত গণন্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী উমা চক্রবর্তী, প্রদীপ নিয়োগী,অনীক অধিকারী সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে আর জি করের পিজিটি মহিলা চিকিৎসককে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ খুনের ঘটনার অপরাধীদের ও অপরাধের তথ্য প্রমাণ বিনষ্টকারীদের কঠিন কঠোর শাস্তির দাবিতে, ডিওয়াইএফআই মুখপত্র যুবশক্তি পত্রিকার সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত কে অন্যায় ভাবে প্রমাণ ছাড়া কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে ও কলতান দাশগুপ্তর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে, পানিহাটি বামফ্রন্টের ডাকে সোমবার পানিহাটি ট্রাফিক(তিলোত্তমা) মোড়ে একটি বিরাট জনসভা হয়।
বামফ্রন্টের ডাকে পানিহাটি ট্রাফিক মোড়ে জনসভা। ছবি - অভিজিৎ বসু।
বক্তব্য রাখেন পানিহাটি বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দুলাল চক্রবর্তী, সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ঝন্টু মজুমদার, জেলা কমিটি সদস্য অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা স্বপন দাস এবং এসএফআই কলকাতা জেলা সম্পাদক দধিতি রয়। ছিলেন, সিপিআই নেতা সুখেন্দু গোস্বামী, সংগীত পরিবেশন করেন জেলার গণনাট্য সংঘের নেতা অসীম ব্যানার্জি এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পানিহাটির বিভিন্ন প্রান্তর থেকে মিছিল করে মহিলারা এবং বিরাট সংখ্যক মানুষ এই সমাবেশে আসেন।
এদিন বিধাননগরের নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আর জি কর কান্ডের সঙ্গে যুক্ত সকল দোষীদের শাস্তি ও কলতান দাশগুপ্তের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সভা হয় বিধাননগর কমিশনারেটের দপ্তরের সামনে। মাত্র একদিনের প্রস্তুতিতে এই বিক্ষোভ সভা স্বতঃপ্রনোদিতভাবে দলমত নির্বিশেষে বিধাননগরের সব নাগরিক এসে উপস্থিত হয়েছেন। নাগরিক সমাজের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হন এলাকার চিকিৎসকরা। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি, ডাঃ পূর্ণব্রত গুন, ডাঃ শারদ্বত মুখার্জি, ডাঃ তমনাশ চৌধুরী, প্রযুক্তিবিদ অর্নব রায়, অধ্যাপক দেবব্রত মন্ডল, সমাজকর্মী সুতনুকা বন্দোপাধ্যায়। সভা পরিচালনা করেন জনবিজ্ঞান আন্দোলনের বাসব বসাক।
বক্তরা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার বেহাল দশা ও দুর্ণীতির কথা তুলে ধরেন। তিলোত্তমা হত্যার বিচারের দাবি তোলা হয় সোচ্চারে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দোষীদের আড়াল করার যে অপচেষ্ঠা চলেছে তাকে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানানো হয়। জাস্টিজ ফর আর জি কর দাবিতে যে আন্দোলন চলেছে সেই আন্দাোলনের সাথে যুক্তদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রমণ চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে উল্লেখ করেন। আন্দোলনকারী যুব নেতৃত্ব কলতান দাশগুপ্তের গ্রেপ্তারীকে নিন্দা করা হয়। এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি তোলা হয়। বক্তব্যের মাঝে উপস্থিত নাগরিকরা রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে ঘন ঘন স্লোগান তোলেন।
জগদ্দল থানা ঘেরাও।
Comments :0