Death Sentence

মাটিগাড়ায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা

রাজ্য জেলা

শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর নৃশংস খুনের ঘটনার দোষী সাব্যস্ত মহম্মদ আব্বাসের ফাঁসির সাজা ঘোষণ। প্রায় ১ বছর ১৪ দিনের মাথায় শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে এই সাজা ঘোষণা করা হয়। গত জানুয়ারি মাস থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলায় ২২জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পরে এদিন শিলিগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল সেশনস জাজ কোর্টের (পকসো) বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অপরাধীকে মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন। 
প্রসঙ্গত গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ২১ শিলিগুড়ি দার্জিলিঙ মোড়স্থিত স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় মাটিগাড়া এলাকার বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে সাইকেলে চাপিয়ে নির্জন পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় দোষী সাব্যস্ত যুবক মহম্মদ আব্বাস। ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করে ওই যুবক। ছাত্রীকে যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য ইট দিয়ে মুখ থেঁতলে নৃশংসভাবে খুন করে। এক বছর ধরে সমস্ত তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমান খতিয়ে দেখার পরে গত বুধবার মাটিগাড়ার লেলিন কলোনি এলাকার বাসিন্দা মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ৬সেপ্টেম্বর শুক্রবার এই খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত যুবকের সাজা ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেয় আদালত। শুক্রবার শুনানি হলেও সাজা ঘোষণা করেননি বিচারক। বিভিন্ন জাজমেন্টগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার পর শনিবার মহম্মদ আব্বাসকে আদালতে তোলার সাথে সাথেই ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। 
গত এক বছর ধরে নির্যাতিতা ও খুন হয়ে যাওয়া নাবালিকার পরিবার সুবিচারের দাবিতে দিন গুনছিলেন। শুক্রবারের পর শনিবারও সকাল থেকেই শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে দোষী যুবক মহম্মদ আব্বাসের মৃত্যুদন্ডের দাবি জানিয়ে আদালত চত্বরে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। 
মেয়ে হারানো মায়ের কথায়, ‘‘এতোদিনে আমার মেয়ে সুবিচার পেলো’। শুক্রবারই সরকারী আইনজীবি বিভাস চট্টোপাধ্যায় নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিভিন্ন উদাহরণ ও বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর মৃত্যুদন্ডের দাবি জানান। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত যুবকের বাড়িতে বয়ষ্ক মা রয়েছে সেই কারণে অপরাধীর তরফে আইনজীবি ফাঁসির সাজা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানান। কিন্তু এদিন দোষীকে আদালতে তোলার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিচারক মৃত্যু দন্ডের রায় দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ পকসো ধারা ও ৩০২ খুনের ধারায় দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছে। এই মামলাটিকে আদালত বিরলতম ঘটনা বলে মনে করে দোষীর মৃত্যুর সাজা ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের অবসান হল।’’

Comments :0

Login to leave a comment