মঙ্গলবার সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে নিশর্ত জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগেই এফআইআর করা হয় নিরাপদ সর্দারের বিরুদ্ধে।
এদিন হাইকোর্ট পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন কেন এই সব পুলিশ আধিকারিকদের গ্রেপ্তার করা হবে না?
সেলিম বলেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, চোর, ডাকাতদের পাহারা দিচ্ছে নৌকায় করে লঞ্চে করে তাদের নিয়ে যাচ্ছে। আর অন্যদিকে যারা আন্দোলন করছেন প্রতিবাদ করছেন প্রতিবাদীদের ব্যাথা যন্ত্রনার কথা বোঝার চেষ্টা করছে তাদের আটকাচ্ছে। আগেও নওসাদকে গ্রেপ্তার করেছিল, তবে তাকে আটকে রাখতে পারবে না।’’
মঙ্গলবার সন্দেশখালি যান বামপন্থী সংস্কৃতি কর্মীরা। সেই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘১৪৪ ধারার জন্য বামপন্থী লেখক বুদ্ধিজীবীরা আলাদা আলাদা ভাবে গ্রামে গিয়েছেন কথা বলেছেন। পুলিশকে কি ভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা বামপন্থীরা জানে। এটা প্রমানিত পুলিশের যা বুদ্ধি তার থেকে বামপন্থী যুব কর্মী সংস্কৃতি কর্মীদের অনেক বেশি বুদ্ধি আছে।’’
বিধায়ক থাকাকালিন বিধানসভায় সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন নিরাপদ সর্দার। কিন্তু তাকে বলতে দেওয়া হয়নি। এদিন সেলিম বলেন, ‘‘নিরাপদর মাইক বন্ধ করে দিয়েছিল সোনালী গুহ। নারী নির্যাতন নিয়ে বিধানসভায় কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। নিরাপদ সর্দার অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন, লড়াই করেন, প্রতিবাদ করেন। তখন তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আগে জেলে পুড়ে দেওয়া হলো।’’
Comments :0