খাদ্যের গুরুতর অভাবের মধ্যে রয়েছেন গাজার অন্তত ৫ লক্ষ বাসিন্দা। ইজরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের মুখে খাদ্য সহায়তা বাধার মুখে পড়ছে। সকলকে খাদ্য দেওয়া যাচ্ছে না।
সারা বিশ্বের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এখনই যুদ্ধবিরতি জরুরি, আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই শাখা।
বৃহস্পতিবারই গাজার প্রশাসন জানিয়েছে ইজরায়েলের সেনা আগ্রাসনে ঘরছাড়া অন্তত ৩ লক্ষ বাসিন্দা। মোট প্রায় ২৩ লক্ষ বাসিন্দার বেশিরভাগই ঘরছাড়া। বাকি অংশ যেখানে যতটুকু ঠাঁই পেয়েছে তাদেরও ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা।
নির্মম আগ্রাসনে নিন্দা জানিয়ে তুরস্ক বলেছে, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সমর্থন না থাকলে এতটা আগ্রাসী হওয়া সম্ভব হতো না ইজরায়েলের। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে প্রতিদিন নষ্ট করা হচ্ছে।
গাজার একের পর এক জায়গায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরচ্ছে মৃতদেহ। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমে জানাচ্ছেন, ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েও নিস্তার নেই। অন্ধকারের যাত্রায় পরিবার নিয়ে বেরিয়েও পড়তে হচ্ছে ইজরায়লের দখলদার বাহিনীর গুলির মুখে।
গাজার নিজস্ব প্রশাসন জানিয়েছে গাজা শহরের সুজাইয়া এলাকায় বোমার আঘাতে ভেঙে পড়া বাড়িগুলি থেকে ৬০টি দেহ বের করা গিয়েছে। চাপা রয়েছে এমন অসংখ্য দেহ। কেবল এই একটি মহল্লা নয়, একের পর এক এলাকায় এমনই দৃশ্য। আবাসন এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করা ঘরবাড়িতে পড়েছে একের পর এক বোমা। সবই হচ্ছে ‘হামাসকে নিশ্চিহ্ন’ করার নামে। চলছে জাতিবিলোপের পূর্ণ কার্যক্রম।
গাজার প্রশাসন জানাচ্ছে কেবল সুজাইয়া মহল্লায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ এখন গৃহহীন। এর মধ্যে রয়েছে শিশুরা। ভেঙে দেওয়া হয়েছে একটি মেডিক্যাল ক্লিনিক। আশেপাশের ৬০ হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন এই কেন্দ্র থেকে।
ইজরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী এখন নতুন করে নেমেছে গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশে তাল আল হায়া মহল্লা গুঁড়িয়ে দিতে। এখানকার বাসিন্দারা বলছেন, জীবনের কোনও চিহ্ন থাকতে দেবে না ইজরায়েল।
GAZA
জীবনের কোনও চিহ্ন থাকতে দিচ্ছে না ইজরায়েল
×
Comments :0