এসএলএসটি ফ্রেশার্স চাকরি প্রার্থীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা শিয়ালদহ এলাকায়। সোমবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএলএসটি ফ্রেশার্স চাকরি প্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের দাবি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যেই ১০ নম্বর দেওয়ার কথা এসএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। এর পাশাপাশি শূণ্য পদ বাড়ানোর দাবিও তাদের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে। এই একই দাবিতে এসএসসি ভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরি প্রার্থীরা। আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য, ১০ নম্বর পঠন-পাঠনের অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়ায় তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোনকারিরা বলেন, এক লক্ষ শূণ্য পদ তৈরি করতে হবে সরকারকে। তার সাথে সবার ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। ইতিমধ্যে এসএসসির এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
এদিন মিছিল পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে তা উপেক্ষা করে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলার দিকে এগিয়ে যায় মিছিল। চাকরি প্রার্থীরা জানিয়েছেন ধর্মতলায় তারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করবে। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে মিছিল আকানোর জন্য।
চাকরি প্রার্থীদের এই মিছিলের প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং গোটা শিক্ষা দপ্তর এই নিয়োগ ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে।’
উল্লেখ্য এই পরীক্ষার্থীরা এবারই প্রথম এসএসসি’তে বসেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এবারের পরীক্ষায় অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর আলাদা করা হয়েছে। ফলে পরীক্ষার নম্বরে তাঁদের চেয়ে কম পেয়েও অভিজ্ঞতার কারণে নম্বর পেয়ে ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছেন একাংশ।
২০১৬’র স্কুল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার প্যানেল বাতিল করে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট। আগাগোড়া দুর্নীতি ধরা পড়ে যায় আদালতে। এমনকি স্কুল সার্ভিস কমিশন বা রাজ্য সরকার হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে জানায়নি যে কারা যোগ্য। নষ্ট করা হয় পরীক্ষার নথিও। প্যানেল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত। আদালতের রায়ে বাতিল হয় এমন অনেকের চাকরি যাঁদের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি আদালতে। এই অংশেরও অনেকে যদিও ডাক পাননি একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক পদে নিয়োগের ইন্টারভিউতে।
আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য, ১০ নম্বর পঠন-পাঠনের অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়ায় তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে।
Comments :0