ভরতুকি কমল খাদ্যে। ভরতুকি কমল সারেও। পেট্রোলিয়াম জ্বালানি খাতেও কমেছে ভরতুকি। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কট প্রসঙ্গে দু-এক কথা খরচা করলেও দাম বাড়ানোর পুরো ব্যবস্থা হলো মোদী সরকারের বাজেটে।
বাজেট নথি দেখাচ্ছে সারে, খাদ্যে এবং পেট্রোলিয়ামে ভরতুকির বরাদ্দ নিম্নমুখী। ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে সারের ভরতুকির জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অথচ খরচ হয় তার চেয়ে বেশি, ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) বাজেটে এক ধাক্কায় বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকায়।
দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সর্বত্র কৃষকরা ক্ষোভে রাস্তায় নামছেন কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে। তার ফলে একদিকে কৃষকের আয় কমছে, আরেকদিকে দাম বাড়ছে ফসলের। সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকায় বেসরকারি সার নির্মাতারা দামও বাড়িয়ে চলেছে। বাজেটে সরকার নিজের হস্তক্ষেপের উপায়ই কমিয়ে দিল বরাদ্দ কমিয়ে।
খাদ্যেও এক অবস্থা। ভরতুকির জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে ক্ষোভের মুখে পড়ে সরকারকে খরচ করতে হয় ২ লক্ষ ১২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবর্ষে সেই খাতে বরাদ্দের অঙ্ক কমিয়ে হয়েছে ২ লক্ষ ০৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
সরকারি সূত্রের যুক্তি, প্রয়োজন পড়লে সরকারকে বরাদ্দ চাড়িয়ে খরচ করতে হয়। বারবার তা দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা বলছেন, বাড়তি অঙ্ক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের হাতে পৌঁছাতে দেরি হয় বা প্রয়োজন অনুযায়ী পৌঁছায় না বরাদ্দ কমিয়ে খরচ টেনে রাখার কৌশলে। খাদ্যের ভরতুকি ব্যবহার করা হয় কৃষকদের থেকে ফসল সংগ্রহের কাজেও। ফলে কৃষকরাও সম্যায় পড়বেন। আমজনতাকে বাড়তি খরচ করতে হবে খাদ্যের জন্য।
মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও বাজেটে খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলেননি নির্মলা সীতারামন। বরং তাঁর দাবি, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এবং ৪ শতাংশের কাছাকাছি হারেই বেঁধে রাখা গিয়েছে। বাস্তব হলো খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার সরকারি হিসেবেই প্রায় দুই অঙ্ক ছুঁয়ে থাকছে।
পেট্রোলিয়াম খাতে ২০২৩-২৪ সালে ব্যয় হয়ছিল ১২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা ভরতুকি। চলতি বাজেটে ধার্য হয়েছে ১১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।
BUDGET SUBSIDY
খাদ্য থেকে সারে ভরতুকি ফের কমালো কেন্দ্র
×
Comments :0