লালঝান্ডার শক্তি বাড়ছে। তার জন্যই নানা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ক’দিন আগেই নবান্নে অমিত শাহ দেখা করেছেন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে। এরপর দলের নেতাকে বলছেন কী কথা হলো। কোথায় থেমে যেতে হবে। আসলে লালঝান্ডার শক্তি বাড়ছে। তাই দুই দলের মধ্যে বোঝাপড়ার নানা প্রক্রিয়া বাড়ছে।’’
(ad}
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে সিপিআই(এম)’র বৈঠকে যোগ দেন সুজন চক্রবর্তী। পার্টির জেলা দপ্তরে সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে তাঁকে। এক প্রশ্নে তৃণমমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতর পুলিশ হেফাজত? একুশের ঘটনা (২০২১ সালের), এক বছর বাদে কাল অভিযোগ দায়ের! ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে পারল না। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই শাসকের আইন চলছে তার প্রমাণ অনুব্রত মণ্ডল।’’
সোমবার দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল থানায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে যে তাকে পার্টি অফিসের মধ্যে গলা টিপে মারার হুমকি দিয়ে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যার ভিত্তিতে নজিরবিহীনভাবে অতিসক্রিয় হয়ে ‘কাজ’ শুরু করে পুলিশ। ‘তৎপরতার’ সাথে মামলা রুজু করে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয় কেষ্টকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দিল্লির জেলের ভয় দলীয় কর্মীকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়ে রাজ্য পুলিশের হেফাজতে নিশ্চিন্তে রাখার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। আসলে অনুব্রতর মালকিন ভয় পাচ্ছেন। অনুব্রতর মুখ দিয়ে গড়গড় করে সব বেরিয়ে যাবার ভয়। কোথায় কতো টাকা অনুব্রত পাঠিয়েছে তা বলে দেওয়ার ভয়।’’
Comments :0