খুন আর বীরভূম যেন একে অপরের পরিপূরক।গনপুরের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও খুন জেলায়। আবারও খয়রাশোলে। এবারের খুনের নেপথ্যে শাসকের গোষ্ঠী বিবাদ। সেই বিবাদে খয়রাশোলের খুনের তালিকায় জুড়েছে আরও এক নাম। এবার খুন হয়েছে খয়রাশোল বল্কের কাঁকড়তলা থানার বড়রা গ্রামের সেখ নিয়ামুল। তৃণমূলের সামনের সারিতে থাকা পরিচিত দুষ্কৃতী। তাকেই শনিবার শুক্রবার সন্ধ্যায় রড, লাটি, ভারী বস্তু দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে দলেরই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে সিউড়ি হয়ে দূর্গাপুর নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীরা খুব ভাল করেই চিনতেন নিয়ামুলকে। কয়লা, বালি পাচার, পঞ্চায়েতে লুটের বখরা সহ নানান কারবারে সে ছিল সিদ্ধহস্ত। শাসকদলের হয়ে ভোট লুট, এলাকা দাপানোর গুরু দায়িত্ব ছিল তার উপর।মার্কামারা দুষ্কৃতী। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই বহাল তবিয়তে ঘুরতেন তিনি। শুধু জেলায় নয়, পাশ্ববর্তী পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি থানায় সোনা চুরি থেকে পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ডেও চুরি ডাকাতির মামলার রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খয়রাশোলের তৃণমূলের বৈশিষ্ঠ মাফিক লুটের কারবারের বখরা নিয়ে দলের অন্দরেও বিবাফ ছিল জোরাল। নিয়ামুলের দাদা আক্রামুল সেখ জানিয়েছেন, "আমার ভাই তৃণমূল করে। কালো, দিলখুশ, মিলনরাই খুন করেছে।" এই নামগুলোও পরিচিত এলাকার মানুষের কাছে। তাদেরই কথায়, “স্বভাব চরিত্রের দিক থেকে নিয়ামুলের সাথে কালো, মিলন, দিলখুশদের বিন্দুমাত্র ফারাক নেই।”
Beaten to Death
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ বীরভূমে, দলের নেতাকে পিটিয়ে খুন

×
Comments :0