Trafficking

কিশোর পাচারে পাঁচ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন ১৩ বছর পর

কলকাতা

Trafficking


মাত্র ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘বিক্রি’ করে দেওয়া হয়েছিল কিশোরীকে। ঘটনায় জড়িত পাঁচ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করল আদালত। প্রায় ১৩ বছর পর হয়েছে রায়।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে জরিমানার আদেশও দিয়েছে আদালত। 
জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা দিয়ে বসিরহাটের বাসিন্দা ওই কিশোরী তাঁর বন্ধু রুহুল কুদ্দুস গাজির সঙ্গে শিয়ালদাগামী ট্রেনে উঠে পড়ে। তখন তার বয়স ১৬। অভিযোগ, কোল্ড ড্রিংকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কিশোরীকে অচৈতন্য করে দেয় কুদ্দুস। ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে কলকাতার এক যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। দু’দিনের মধ্যেই সেখান থেকে পালিয়ে নিজের গ্রামে ফিরে যায় কিশোরী। কিন্তু তাঁর নামে কুৎসা রটিয়ে দেয় কুদ্দুস ও তার বন্ধু মহঃ ইসমাইল মন্ডল। অভিযোগ তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন করে মহঃ ইসমাইল মন্ডল। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে গ্রামের এক যুবকের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পায় ওই কিশোরী। কুৎসা সেখানেও ছড়িয়ে দেয়। দু’দিনের মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে হয় কিশোরীকে। 


কিশোরী অভিযোগ অনুযায়ী, এরপর বিস্কুটের কারখানায় কাজ দেওয়ার কথা বলে স্বপন রক্ষিত নামে এক ব্যাক্তি কিশোরীকে ডেকে বিক্রি করে দেয় কয়েক লক্ষ টাকায়। পবিত্র বালা নামে দিল্লির এক বাসিন্দার কাছে ফের তাকে বিক্রি করে দেয়। বাধ্য করা হয় যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে।  
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের অভিযান চলাকালীন উদ্ধার হয় সেই কিশোরী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে নেতৃত্বে গোয়েন্দা বিভাগের পাচার রোধ শাখা। শাখার তদানীন্তন সাব-ইনস্পেকটর তন্দ্রিমা গুপ্ত তদন্ত চালান। ২০১৪’র ফেব্রুয়ারির মধ্যে বসিরহাট, কলকাতা, এবং দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার হয় কুদ্দুস, ইসমাইল, পাপিয়া, পবিত্র, এবং সুমিত। 
এ বছরের  ১৮ মে বিচার শেষ হয়। পাঁচ অভিযুক্তকেই পকসো আইন ও হিউম্যান ট্রাফিকিং প্রিভেনশন আইনের আওতায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড–সহ পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার শাস্তি দিয়েছে নগর দায়রা আদালত।

Comments :0

Login to leave a comment