অনন্ত সাঁতরা
খানাকুল ও পুরশুড়া সহ সর্বত্রই জলস্তর কিছুটা কমলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। খানাকুল গঞ্জের কাছ থেকে জল কিছুটা নেমেছে। কিন্তু রাজহাটির বাজার এলাকায় জল নামতে দেরি হবে। মাড়োখানা গ্রাম পঞ্চায়েত বা পানশিউলি বাজার অনেক নিচু এলাকা, জল থাকবে বেশ কয়েকদিন। রামমোহন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলকচকের কাছে বাস রাস্তায় প্রায় ১০০ ফুটের কাছাকাছি নষ্ট হয়ে গেছে।
শনিবার মাড়োখানার দক্ষিণ অঞ্চলে নৌকো চলছে। বাড়ি থেকে জল নেমেছে কিন্তু বাজারে এখনো বেশ জল জমে রয়েছে। দোকান পাট বেশিরভাগ বন্ধ। কেউ কেউ নৌকা ও মোটর ভ্যানে করে বাজারে আসছেন। প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিন স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জগতপুর ও মাড়োখানায় ত্রাণ বন্টনও করা হয়েছে। নৌকা করে দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
রাজহাটির মানুষ জানালেন, জল বেশ কিছুটা কমলে যে দ্রুত নেমে যাবে এমনটা নয়। এছাড়া রবিবার থেকে যদি নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে ঘনীভূত হয় তাহলে ওখানের বৃষ্টির জল খানাকুলে ফের বিপত্তি ঘটাবে বলে আশঙ্কা। মানুষ আর গবাদি পশুর সহাবস্থান এবারের বানভাসি খানাকুলবাসির সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। খোলা ছাদে এখানকার পরিবার ত্রিপল টাঙিয়ে বাস করছেন। বেশ কিছু অঞ্চলে গবাদি পশুদের বাঁচাতে ছাদে তোলা হয়েছে। সাপের উপদ্রব বেড়েছে। জল নামতে শুরু করলে অনেক মাটির বাড়ি ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কায় দিন কাটছে। চারিদিক শুধু মানুষের ক্ষতি আর ক্ষতি। ফসলের মাঠ জলমগ্ন।
বানভাসি বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকার আছে বলে চোখে পড়েছে না। এই মুহূর্তে খানাকুলে বিভিন্ন জায়গায় তীব্র জল সংকট। কোথাও কোথাও বন্যার জল ফুটিয়ে খেতে বাধ্য হচ্ছেন বিপন্নরা।
পুরশুড়া ব্লকের দক্ষিণ অংশে কিছুটা জল কমলেও গ্রামীণ যোগাযোগের রাস্তাগুলি ডুবে রয়েছে। বহু রাস্তা ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। সরকারি ত্রাণের অভাব । ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কৃষি জমির মাঠের জল সরতে আরো বেশ কিছু দিন দেরি হবে। এতে ধান সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
Comments :0