লোকসভার এথিক্স কমিটি শনিবার তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার মামলায় ৩১ অক্টোবরের পরিবর্তে ২ নভেম্বর তার সামনে হাজির হতে বলেছে। কমিটি আআরও বলেছে আর কোনো মেয়াদ বাড়ানো হবে না। মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে এথিক্স কমিটির তৎপরতায় তৃণমূল চুপ কেন। শনিবার দিল্লিতে এই প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রে যতটা সক্রিয়, নারদকাণ্ডে তো সেই সক্রিয়তা দেখা গেল না। বরং উলটো হলো। আদানির কোপে পড়েছেন, ফলে মোদীজীর রোষানলে পড়েছেন। আদানি এবং মোদীজীর খেলা, সেই খেলায় চলতে হবে সংসদকে। তাতে তিনি রোষানলে পড়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো তৃণমূলের নেতারা কী বলছে? তাঁরা এখন মহুয়া মৈত্র নিয়ে চুপ কেন?
এথিক্স কমিটির নিরপেক্ষতা নষ্ট হলে ঠিক হবে না। নারদায় একরকম, মহুয়ায় আরেকরকম। সবাই বুঝতে পারছেন কেন। সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন চক্রবর্তী।
শুক্রবার, মহুয়া মৈত্র লোকসভার এথিক্স কমিটিকে লিখেছিলেন যে তার বিরুদ্ধে আনা 'ক্যাশ-ফর-কোয়েরি' অভিযোগের তদন্তের হাজিরার দিন ৩১ অক্টোবরের বদলে ৫ নভেম্বর করা হোক। প্যানেল চেয়ারপার্সন বিনোদ সোনকারের কাছে তার চিঠিতে, মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন যে তিনি ‘‘অভিযোগের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকার এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন’’ এবং তাকেও শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকে জেরা করার অধিকার দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিৎ। তিনি আরও বলেছিলেন যে হিরানন্দানির উচিৎ কমিটির সামনে উপস্থিত হওয়া এবং ‘‘তিনি আমাকে যে তথাকথিত উপহার এবং বা সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন তার একটি বিশদে যাচাই করা তালিকা’’ সরবরাহ করা উচিত।
মহুয়ার আবেদনের প্রতিক্রিয়ায়, লোকসভার এথিক্স কমিটি তার উপস্থিতির তারিখ তিন দিন বাড়িয়েছে, তাকে ২ নভেম্বর হাজিরা দিতে বলেছে। পাশাপাশি, কমিটি এও বলেছে যে তারা সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য কোনও অনুরোধ গ্রহণ করবে না। উল্লেখ্য, নারদ মামলায় গোপন ক্যামেরায় তৃণমূলের একাধিক সাংসদকে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল। বামপন্থীদের দাবিতে বিষয়টি সংসদের এথিক্স কমিটি বা নৈতিকতা বিষয়ক কমিটিতে যায়। ঘটনার সময় কমিটির প্রধান ছিলেন বিজেপি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি। কিন্তু এথিক্স কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্তে এগোয়নি।
Comments :0