লোকসভা ভোটে জাতভিত্তিক জনগণনার দাবিকে সামনে রাখবে সমাজবাদী পার্টি। তুলবে পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফেরার দাবিও। সংসদে কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধীদের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয়েও আপত্তি নেই। তবে জাতীয় দল হিসেবে কংগ্রেসকেও নিজের ভূমিকা ঠিক করতে হবে।
রবিবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে দলের এই অবস্থান জানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ সিং যাদব। দু’দিন ধরে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। বৈঠকের আগে দেখাও করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে।
মমতার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অখিলেশের ব্যাখ্যা, ‘‘বিরোধী যে যে দল বিজেপি’কে হারাতে পারে তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছাচ্ছে ইডি, সিবিআই। মূল আলোচনার বিষয় বিজেপি’কে হারানো। লোকসভা ভোটে তা করার জন্য একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সক্রিয়। মমতা ব্যানার্জি ছাড়াও রয়েছেন তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও বা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।’’
মমতা ব্যানার্জির দল সংসদের চলতি অধিবেশনে বিরোধী সব দলের থেকে আলাদা থাকার নীতি নিয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগাযোগ নিয়ে সরব বিরোধীরা। সংসদীয় তদন্ত দাবি করছেন। সরকারের জবাবদিহি চাইছেন। জবাবদিহি এড়াতে বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রীরাই অধিবেশন পণ্ড করছেন, গত কয়েকদিন এই বক্তব্যে সরব বিরোধীরা। তৃণমূল সরে থাকলেও সমাজবাদী পার্টি, ‘আপ’ বা তেলেঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি একযোগেই থেকেছে।
অখিলেশ বলেছেন, ‘‘সংসদে কক্ষ সমন্বয় চলতেই থাকে। তবে জমির লড়াই আলাদা।’’ কংগ্রেস প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘আমরা আঞ্চলিক দল। কংগ্রেস জাতীয় দল। ফলে জাতীয় দল হিসেবে কী ভূমিকা নেবে ঠিক করুক কংগ্রেস।’’
এদিন বক্তব্যের গোড়াতেই কংগ্রেস সম্পর্কে মন্তব্য করেন তিনি। অখিলেশ বলেন, ‘‘অতীতে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগকে পাঠিয়েছে কংগ্রেস এভাবে শেষ হয়েছে। বিজেপি’ও তাই করছে। বিজেপি’ও থাকবে না।’’
পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফেরার প্রশ্নে হিমাচল এবং রাজস্থানের উল্লেখ করেছেন অখিলেশ। তবে সরকারে এই দুই রাজ্যে কংগ্রেস, বলেননি তিনি। অখিলেশ বলেছেন, ‘‘জাতভিত্তিক জনগণনা না হওয়ায় সামাজিক ন্যায় ব্যাহত হচ্ছে। বহু দল, দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন দলও, এই দাবিতে একমত। বিজেপি সামাজিক সংরক্ষণের মূল নীতি থেকেও সরে চলেছে।’’
Comments :0