জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠনকে সঙ্গত বলল সুপ্রমিক কোর্ট। ডিলিমিটেশন কমিশন গড়ার বিজ্ঞপ্তিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের মামলা সোমবার খারিজও করল শীর্ষ আদালত। কিন্তু বিচারপতি স্পষ্টই বললেন, এই রায়ের মানে এমন নয় যে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধতা পেয়ে গেলো।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নেয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন শ্রীনগরের(Srinagar) দুই বাসিন্দা হাজি আবদুল গনি ও মহম্মদ আয়ুব মাট্টু।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতি সঞ্জয় কল এবং এএম ওকার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সংবিধানের ২ এবং ৩ ধারা অনুযায়ী সংসদ নতুন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে পূর্বতন রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়। সেই আইনেই ডিলিমিটেশন কমিশন গড়ার সংস্থান রয়েছে।
জম্মু কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাসের (Delimitation) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন গনি এবং মাট্টু। আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, ২০২১’র জনগণনা না হওয়ায় ভারতের সমস্ত রাজ্যে আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে কেবল জম্মু ও কাশ্মীরে কেন পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে!
দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কল এবং এএস ওকার বেঞ্চ জানায় যে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০(370) রদ করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে সেগুলি রয়েছে। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস আইন, ২০১৯ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না সুপ্রিম কোর্ট।
পুনর্বিন্যাস কমিশন গত মে মাসেই তাদের রিপোর্ট জমা করেছে। বিজেপি বাদে আর সব রাজনৈতিক দল রিপোর্টের তীব্র বিরোধিতা করেছে। কমিশনের প্রস্তাবের বিপক্ষে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়লেও তা আমলই দেওয়া হয়নি। কমিশনের প্রস্তাবে পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮৩ থেকে বেড়ে ৯০ হবে। কাশ্মীরে থাকবে ৪৭টি আসন ও জম্মুতে ৪৩টি।
বিরোধীরা বলছেন, ভৌগলিক এবং প্রশাসনিক যুক্তির তোয়াক্কা না করে একটি অংশের সঙ্গে আরেকটি অংশকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য আসলে নির্বাচনে বিজেপি’কে সুবিধা করে দেওয়া।
Comments :0