বুধবার থেকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুই দল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। সুদীপ কুমার ঘরামি এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের জোড়া শতরানে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলার রান দাঁড়ায় ৪৩৮। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৭০ রানে। বাংলার হয়ে আকাশদীপ দুরন্ত বোলিং করে ৫ উইকেট সংগ্রহ করেন।
মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষে বাংলা এগিয়ে ছিল ২৬৯ রানে। সেই সময় মনোজ তিওয়ারির সামনে দুটি বিকল্প ছিল। প্রথমত, তিনি সেই সময় মধ্যপ্রদেশকে ফলো অন করাতে পারতেন। দ্বিতীয়ত, বড় লিডকে ভিত্তি করে মধ্যপ্রদেশের সামনে পর্বতসমান রানের লক্ষমাত্রা রাখা। মনোজ দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নেন। এর মূল কারণ, প্রথমত দলের বোলারদের বিশ্রাম দেওয়া। এবং দ্বিতীয়ত, চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার ঝুঁকি না নেওয়া। কারণ, ইন্দোরের পিচে চতুর্থ ইনিংসে বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়াও মনোজের সিদ্ধান্তের পিছনে রনজি ট্রফির নিয়মও ভূমিকা পালন করেছে।
রনজির নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনালের কোনও ম্যাচ ড্র হলে প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়া দল ফাইনালে যাবে। এই অঙ্ক মাথায় রেখে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন বাংলার ব্যাটাররা। বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও অবধি সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। বাংলার স্কোর ৯ উইকেটে ২৭৯। মধ্যপ্রদেশের হয়ে একাই ৬ উইকেট নিয়েছেন সারাংশ জৈন। বাকি ৩টি গিয়েছে কুমার কার্তিকেয়’র পকেটে।
পঞ্চম দিনের শুরু থেকেই মধ্যপ্রদেশকে ব্যাট করাতে চাইবে বাংলা। গোটা দিনের মধ্যে ১০ উইকেট তুলে নিতে পারলে যেমন ফাইনালে পৌঁছবে বাংলা, তেমনই ম্যাচ ড্র হলেও অ্যাডভান্টেজে টিম বেঙ্গল। অপরদিকে ফাইনালে পৌঁছতে হলে একদিনের মধ্যে ৫৫০’র কাছে রান করতে হবে মধ্যপ্রদেশকে।
Comments :0