নেতাজী স্মরণ অনুষ্ঠানে, মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শপথ নিল আরএসএস।
নেতাজীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বয়ংসেবকদের ‘একত্রীকরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বারাসত নবপল্লির সত্যভারতী বিদ্যাপীঠের মাঠে। উপস্থিত ছিলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। সেখানে স্বয়ংসেবকরা কুচকাওয়াজ করেন। তাঁদের সঙ্ঘের শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। ভারতবর্ষে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার মধ্যে দিয়ে বিশ্বের মধ্যে হিন্দু রাষ্ট্র ভাবনাকে প্রসারিত করা ছিল শপথ বাক্যের প্রধান বিষয়। এই লক্ষ্যে চলতে কিভাবে সেবা মূলক ইত্যাদি কাজ করতে হবে সে রকম আরও দুটি বিষয় ছিল শপথ বাক্যে।
দেখা গেল ১৪র নিচের কিশোর থেকে পঞ্চাশের উপরের বয়সের উপস্থিতি। কিশোরদের মধ্যেও হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের বিষ ঢুকিয়ে দেওয়ার এই ‘কার্যক্রম’ পালন করা হলো নেতাজী জন্মজয়ন্তী আবেগকে কাজে লাগিয়ে। আজাদহিন্দ ফৌজ নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সমগ্র অভিযানে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিমদের গৌরবজনক আত্মত্যাগ সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিল মোহন ভাগবতের বক্তব্যে। নেতাজীর দেশপ্রেম থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ গঠনের শপথ বাক্য আসলে সুভাষ চন্দ্র বসুকে অপমান ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ভাগবত গান্ধীর সাথে নেতাজীর মতপার্থক্য সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য উল্লেখ করলেও, উল্লেখই করলেন না সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে ফরোয়ার্ড ব্লক গঠনের কথা। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘আমরা জানি নেতাজীর স্বপ্ন অধরা রয়ে গেছে, কিন্তু সেই স্বপ্নকে পূরণ করবে? উনি জানতেন এই স্বপ্ন একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগচ্ছি।’’ নেতাজীর স্বপ্ন হিন্দু রাষ্ট্র গঠন ছিল কিনা সেবিষয়ে অবশ্য তিনি কিছু বলেননি। মোহন ভাগবতের আগমনকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসনের ছিল নিশ্ছিদ্র প্রহরার ব্যবস্থা। বারাসত পৌরসভা অঢেল সহযোগিতা করে এই ‘কার্যক্রম’কে ঘিরে।
Mohan Bhagwat
বারাসতে মোহন ভাগবত, নেতাজী স্মরণে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শপথ
×
Comments :0