NATUNPATA BOOK REVIEW / PRODOSHKUMAR BAGCHI, 28 JUNE

নতুনপাতা বইকথা / মানুষের বড়ো হয়ে ওঠার গল্প

ছোটদের বিভাগ

NATUNPATA   BOOK REVIEW  PRODOSHKUMAR BAGCHI 28 JUNE 2023

বইকথা

মানুষের বড়ো হয়ে ওঠার গল্প
প্রদোষকুমার বাগচী

মানুষ যে কি করে বড়ো হয়ে উঠল সেকথা কি তোমরা ভেবে দেখেছো? যদি না ভেবে
থাকো তাহলেও চিন্তা নেই। এবার তোমাদের সামনে মানুষের বড়ো হয়ে ওঠার কাহিনী
নিয়ে একটি বইয়ের কথা তোমাদের বলবো। বইটির নাম ‘মানুষ কি করে বড়ো হল।’
বইটির ইংরেজি নাম ছিল ‘হাউ ম্যান বিকেম আ জায়ান্ট’। এটি লিখেছেন মিখাইল
ইলিন ও ইয়েলেনা সেগাল। এটি লেখা হয়েছিল ১৯৪০ সালে। আমাদের দেশ তখনও
স্বাধীন হয়নি। বইটি সেই সময় থেকে নানা দেশে জনপ্রিয় হয়ে গেল। বইটির বিষয়
একটু জটিল কিন্তু যাঁরা লিখেছেন তাঁরা এত সহজ সরল করে লিখেছেন যে তোমরাও
বুঝতে পারবে। বইটি খুললেই দেখবে যে এতে চমৎকার বারোটি অধ্যায় রয়েছে।
তোমরা ছোট হলেও তোমরা যে চিন্তা করতে পারো না তা তো নয়। তাই এই
অধ্যায়গুলি তোমাদের ভালো লাগবে। বইটিতে মানব জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতির
উদ্ভবের যথাযথ চিত্র তোমরা পাবে। বুঝতে পারবে যে একসময় মানুষ ভাবতো
পৃথিবীটা একটা রূপকথার জগতের মতো। পরে বুঝতে পারলো তার একটি বস্তুগত রূপ
আছে। আগে মানুষ পার্থক্য করতে পারতো না কোনটা জ্ঞানের আলো আর কোনটা
কুসংস্কারের অন্ধকার। পৃথিবীতে একসময় কত যে দেবতা ছিল তার হিসাব করা
মুশকিল। সবাই শক্তিশালী। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের জ্ঞান যত বেড়েছে
ততই তাদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। মানুষের হাতের কাজ যত বেড়েছে দেবতার কাছে
প্রার্থনা করা ততই কমেছে। এভাবে মানুষ বড় হচ্ছে। যত বড় হচ্ছে চারপাশের
জগতও হচ্ছে বড় থেকে আরও বড়। শেষে একটা কথা বলি। মানুষের জ্ঞান তো এখন
সেই ১৯৪০ সালের জায়গায় থেমে নেই। অনেক বেড়েছে। তাই এই বইয়ের দুএকটি
সিদ্ধান্ত আজকে অচল। তারপরেও বইটির প্রয়োজনীয়তা কিন্তু এতটুকু হ্রাস
পায়নি।


বইটি পড়লে তোমরা আদিম মানুষের কাহিনী জানতে পারবে। তার সঙ্গে
জ্ঞানবিজ্ঞানের একেবারে দোরগোড়ায় এসে তোমরা দাঁড়াবে। এবার তোমাদের কাজ
হবে তার ভিতরে ঢুকে যাওয়া। আর তার আনন্দই আলাদা। তাহলে এবার বইটির
ঠিকানা বলে দিই—
মানুষ কি করে বড়ো হল
মিখাইল ইলিন ও ইয়েলেনা সেগাল। মস্কো : রাদুগা প্রকাশন ১৯৮৭।

Comments :0

Login to leave a comment