Explosion in Patharpratima

পাথরপ্রতিমায় বোমা বিস্ফোরণে তিন শিশু সহ মৃত সাত

রাজ্য জেলা

 

অনিল কুণ্ডু: পাথরপ্রতিমা

 

মজুত বোমা বিস্ফোরণে গৃহকর্তা সহ একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ রায়পুরে ঘেরী এলাকায়। ঘটনাস্থলে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ৯ নাগাদ আচমকা বিকট শব্দ হয়। তারপর তাঁরা গিয়ে ঘরের ভিতরে আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। তারপরও পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। ঘরের ভিতরে আগুনের লেলিহান শিখা ও তীব্রতায় ধারে কাছে পৌঁছতে পারেননি গ্রামবাসীরা।

তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এই পরিবারের ১১ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে গৃহকর্তা অরবিন্দ বণিক, তাঁর স্ত্রী, মা, পুত্র বধূ ও ৩ জন বাচ্চা সহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের বাকি ২ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে তাঁরা অগ্নিদগ্ধ ওই ঘরের ভিতরে রয়েছেন।‌ ওই এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরে বোমা ও বাজি তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন অরবিন্দ বণিক। বাড়ির কাছে তিনি কারখানা করেন। গ্রামবাসীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কারখানায় বোমা তৈরির পর বাড়িতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। ঘরের মধ্যে কিভাবে মজুত ওই বোমায় আগুন লাগে জানা যায়নি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ও পরপর বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে বাজি নয় মজুত বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত।

তাঁরা আরো জানান, অরবিন্দ বণিকের ২ পুত্র। তাঁদের মধ্যে চন্দ্রকান্ত বণিকও বোমা ও বাজি তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণের ঘটনার পর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তাঁদের কথায়, ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ। মৃতদেহ খন্ড খন্ড হয়েছে। কঙ্কাল বেড়িয়ে পড়েছে। আগুনে দেহ পুড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই চলছিল বেআইনি এই বোমা ও বাজি তৈরির কারখানা। এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এই বণিক পরিবার।

Comments :0

Login to leave a comment