কোচবিহার থেকে কামারহাটি পর্যন্ত বাংলা বাঁচাও যাত্রাকে সংহতি জানাতে এবং তৃণমূলের লুট, ওয়াকফ আইন বাতিল এবং মানুষের অধিকার রক্ষার দাবিতে সিপিআই(এম) বীরভূম জেলা কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রামপুরহাট থেকে নলহাটি বাংলা বাঁচাও পদযাত্রার উদ্বোধন হয় রামপুরহাট শহরের পাঁচমাথা মোড়ে।
তৃণমূলের লুটেরা রাজ বন্ধ করো, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দাও, অবিলম্বে ওয়াকফ আইন বাতিল করো এবং বাংলা বাঁচাও ও বাংলার মানুষকে বাঁচাও এই দাবিতে সোচ্চার হয়ে হাজারো পদযাত্রী এদিন রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে জমায়েত হন। সেখানে এই বাংলা বাঁচাও পদযাত্রার উদ্বোধন করেন সিপিআই(এম) নেতা দীপঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি ও তৃণমূলের প্রাতিষ্ঠানিক দুরনীতি লুট ও বিভেদের মেরুকরনের রাজনীতি তে মানুষ বিভ্রান্ত। তৃণমূলের ১৪ বছরের শাসনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ধ্বংশের পথে। রাজ্যে কোন কাজ নেই, কোন শিল্প নেই, অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছেন। সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষীদের বাংলাদেশী তকমা দিয়ে চলছে পুলিশি জুলুম। তিনি ওয়াকফ আইন প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যে মূখ্য মন্ত্রী বলেছিলেন আমি থাকতে বাংলায় ওয়াকফ আইন লাগু হবেনা। আবার যখন এই ওয়াকফ সংশোধনী আইন কেন্দ্রীয় সরকার পাশ করলো। তখন কলকাতার রাজপথে এর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের মিছিলের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলো। সেই সময় মূখ্যমন্ত্রী রেগে বলেন, এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হলে দিল্লীতে করতে হবে এখানে নয়। আজ যখন কেন্দ্র সব রাজ্যে আইন লাগু করে দিল তখন এই রাজ্যে মূখ্যমন্ত্রী নিরব দর্শক। মসজিদ, কবর স্থান ও ওয়াকফ সম্পতি আজ সরকারি হবে। এর ফলে দেশজুড়ে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অবিলম্বে এই আইন বন্ধ করতে হবে। তাই আমরা বাংলা বাঁচাও এর ডাক দিয়েছি। মিছিল শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। রামপুরহাট শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে মিছিলে পা মিলিয়েছেন সিপিআই(এম) নেত্রী কেনিজ রবিউল ফতেমা, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, সঞ্জীব মল্লিক, সঞ্জীব বর্মন, অমিতাভ সিং প্রমুখ। রামপুরহাট থেকে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পদযাত্রা এগিয়ে চলে রামপুরহাট হাসপাতাল, রামপুরহাট নিউটাউন, প্রতাপপুর, তেজহাটি হয়ে ১৯ কিমি পথ অতিক্রম করে মিছিল পৌঁছায় সাড়ে তিনটার সময় নলহাটি ইলাদেবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
Bangla Bachao Yatra
বাংলা বাঁচাও যাত্রাকে সংহতি জানিয়ে বীরভূমে পদযাত্রা
×
Comments :0